জেনেভা (সুইজারল্যান্ড): এবার পাক অধিকৃত বালুচিস্তানের মানুষদের ওপর পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নির্যাতিত বালুচদের পাশে ইইউ আছে বলে জানিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সহ সভাপতি রিসজার্ড জারনেকি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বালুচিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ না হলে ইসলামাবাদের ওপর আর্থিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন তাঁরা।

তিনি জানিয়েছেন, মানবাধিকার নিয়ে বিতর্কের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশগুলিকে বলা হয়েছে, তাদের সহযোগী দেশগুলি মানবাধিকার রক্ষায় আগ্রহী না হয়, তবে ইইউ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। আর্থিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বসাবে তারা। পাক সরকারের হাতে নির্যাতিত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একটি নির্বাক মিছিলেও যোগ দেন তিনি। পরে বলেন, এখন আর কথা নয়, এবার কাজে করে দেখানোর সময়। তাঁর কথায়, ইইউয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের আর্থিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। যদি তারা বালুচিস্তানের প্রতি তাদের রাষ্ট্রীয় নীতি না পাল্টায়, তবে ইসলামাবাদ ও পাক সরকারের প্রতি নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে তাঁরা বাধ্য হবেন।

অত্যন্ত চাঁচাছোলা ভাষায় ইইউ সহ সভাপতি জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ দু’মুখো নীতি নিয়ে চলে। বিশ্বকে তারা পরিষ্কার, নিষ্পাপ মুখ দেখায় অথচ তারাই ভেতরে ভেতরে বালুচিস্তানে ভয়াবহভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনে ব্যস্ত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮ সদস্য দেশেরই এর বিরুদ্ধে মুখ খোলা উচিত বলে। পাক সরকার সেনার কথায় ওঠাবসা করে। পরিস্থিতির ওপর তাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এটাই তাদের প্রধান সমস্যা। এখন সময় গোটা পরিস্থিতি থেকে চোখ বুজে না থেকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার। ইইউ যে বালুচিস্তানের পাশে আছে, তা তাদের বোঝানোর সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।