কাঠমান্ডু: লুকলা থেকে কপ্টারে কাঠমান্ডু আনা হল পর্বতারোহী সুভাষ পালের দেহ। কাল ময়নাতদন্ত হওয়ার পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। এভারেস্টের রুট বন্ধ হওয়ার কারণে, ক্যাম্প ফোর থেকে আনা যায়নি পরেশ নাথের দেহ। এখনও নিখোঁজ গৌতম ঘোষ।


যে জুতো পায়ে গলিয়ে এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই জুতো এখনও পায়ে। শৃঙ্গ ছোঁয়ার নেশায় যে লাগেজ কাঁধে নিয়ে মৃত্যুপুরীতে পা রেখেছিলেন, সেগুলিও অবিকৃত। ফিরল সবকিছুই। ফিরতে পারলেন না শুধু তিনিই।

এতদিন ক্যম্প টু-তেই রাখা ছিল বাঁকুড়ার সুভাষ পালের দেহ। উদ্ধারে বারবার বাধ সাধছিল খারাপ আবহাওয়া। রবিবার আবহাওয়ার উন্নতি হতেই কাঠমান্ডু থেকে কপ্টার ওড়ে ক্যাম্প টু-র উদ্দেশে। দেহ নিয়ে ফেরার সময় ফের খেয়ালি হয়ে ওঠে প্রকৃতি। লুকলা বিমানবন্দরে ঘণ্টাতিনেক আটকে থাকে কপ্টার। আবহাওয়া ভাল হতেই ফের শুরু হয় উড়ান। কাঠমান্ডুতে আনা হয় সুভাষের দেহ। টিচিং হাসপাতালের হেলিপ্যাডে তখন অপেক্ষায় তাঁর দাদা, বন্ধুরা।

সোমবার কাঠমান্ডুর এই সরকারি হাসপাতালেই সুভাষ পালের দেহের ময়নাতদন্ত হবে। তারপরই দেহ নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন আত্মীয়রা।

প্রবল তুষারপাতের জেরে শনিবার থেকেই এবারের মতো এভারেস্ট অভিযান বন্ধ করে দিয়েছে নেপাল সরকার। ক্যাম্প ফোরেই রয়ে গিয়েছে আরেক পর্বতারোহী পরেশ নাথের দেহ। রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, এবছর এভারেস্ট থেকে তাঁর দেহ নিয়ে আসার সম্ভাবনা কার্যত শূন্য। ক্যাম্প ফোরে কোনও হেলিকপ্টার পৌঁছতে পারে না।এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে দুর্গাপুরের এই পর্বতারোহীর অসহায় পরিবার।

এদিকে, এখনও খোঁজ মেলেনি আরেক পর্বতারোহী গৌতম ঘোষের। এবারের মতো এভারেস্ট অভিযান বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, আপাতত আর উদ্ধারকাজ চালানোর উপায় নেই। কিন্তু আশা ছাড়তে নারাজ ব্যারাকপুরের এই পরিবার। মিরাকেল একটা হবেই, বুক বেঁধে আছেন পরিজনরা।