ইয়াঙ্গন: মায়ানমারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষজন দেশ ছেড়ে পালানো শুরু করার পর প্রথমবার রাখাইন প্রদেশ পরিদর্শনে গেলেন অং সান সু চি। আজ সকালে তিনি প্রথমে রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিটউইয়ে যান। সেখান থেকে তিনি যান উত্তর রাখাইনে। এই অঞ্চলেই অধিকাংশ রোহিঙ্গা গ্রাম। মায়ানমার সরকারের ডেপুটি ডিরেক্টর তিন মাউঙ্গ সুই বলেন, সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে উত্তর রাখাইনের মাউঙ্গডাওয়ে যান সু চি। তবে সরকারি মুখপাত্র জাও তে বলেছেন, নিরাপত্তার কারণে সু চি-র সফরসূচির বিষয়ে কিছু জানানো হবে না।

এর আগে ২০১৫ সালে নির্বাচনী প্রচারে রাখাইন প্রদেশে গিয়েছিলেন সু চি। সেই সময় সেখানে কোনও গোলমাল ছিল না। কিন্তু এ বছরের ২৫ অগাস্ট থেকে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করেছে। এখনও পর্যন্ত ৬ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ সহ বিভিন্ন দেশ। মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা কমে এলেও, একেবারে বন্ধ হয়নি। এখনও মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন সু চি। তিনি সেপ্টেম্বরে প্রথমবার রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মুখ খুলে আন্তর্জাতিক মহলকে ধৈর্য ধরতে বলেন। সংঘর্ষের জন্য রোহিঙ্গাদেরও দায়ী করেন সু চি। তবে আন্তর্জাতিক মহল নোবেলজয়ী নেত্রীর বক্তব্য মানতে নারাজ।

এরই মধ্যে মায়ানমার সরকার জানিয়েছে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরানো হবে। তবে বাংলাদেশের জন্যই এই প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের অবশ্য পাল্টা দাবি, মায়ানমার থেকে এখনও রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সারা বিশ্ব এ বিষয়ে মায়ানমারের অবস্থান জানে।