সোচি (রাশিয়া): দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে শৈত্য থাকলেও সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য হওয়ায় পাকিস্তানকে অভিনন্দন সুষমা স্বরাজের। এসসিও ভুক্ত দেশগুলির প্রধানদের ১৬-তম বৈঠকে নিজের ভাষণে বিদেশমন্ত্রী বলেন, এসসিও-র পাকাপাকি সদস্য হওয়ায় পাকিস্তানকে আমার অভিনন্দন।
চিনের আধিপত্য রয়েছে নিরাপত্তা বিষয়ক এই গোষ্ঠীতে। এসসিও-কে ন্যাটোর পাল্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে। গত জুনে এর পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন সদস্য হয় ভারত, পাকিস্তান-দুদেশই। এই প্রথমবার রুশ বিচ রিসর্ট শহর সোচিতে এবারের এসসিও-র সম্মেলনে স্থায়ী সদস্য হিসাবে যোগ দিচ্ছে ভারত। সম্মেলনে হাজির ছিলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসিও।
ভারতে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা, প্রাক্তন ভারতীয় নৌ অফিসার কুলভূষণ যাদবকে পাকিস্তানে চরবৃত্তির দায়ে দোষী ঘোষণা করে সামরিক আদালতের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা সহ নানা ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
সুষমা ভাষণে বলেন, ভারতের কাছে এই সম্মেলনের বিশেষ গুরুত্ব আছে। ভারত এসসিও-র পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন সদস্য হওয়ার পর এটাই এসসিও-র প্রথম বৈঠক। তাছাড়া এর আয়োজন করছে আমাদের বহু পরীক্ষিত, পুরানো বন্ধু রাশিয়া।
২০০১ সালে সাংহাইয়ে আয়োজিত সম্মেলনে এসসিও গঠন করেন রাশিয়া, চিন, কিরঘিজ প্রজাতন্ত্র, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্টরা। ২০০৫-এ আস্তানা সামিটে ভারত, পাকিস্তান, ইরান পর্যবেক্ষক হিসাবে এসসিও-তে অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১০-এ তাসখন্দ সামিটে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। এসসিও-র পরিধি বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়। বর্তমানে ৮টি দেশ এর সদস্য।