নয়াদিল্লি: যো জিতা ওহি সিকান্দর! যে জেতে তার কথাই সকলে মনে রাখে, তার জন্যই যাবতীয় জয়বাদ্য, হই হট্টগোল। হেরোর কথা ভাবার সময় কোথায়। কিন্তু উল্টোপথে হেঁটেছেন স্যামুয়েল ওয়েস্ট। সুইডেনে তিনি তৈরি করেছেন মিউজিয়াম অফ ফেলিওর, যে সব জিনিসপত্র বাজারে চলেনি, তারই জাদুঘর।

আগামীকাল থেকে সকলের জন্য খুলে যাবে এটি।

বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের ষাটের ওপর ব্যর্থ প্রোডাক্ট দেখানো হবে এই মিউজিয়ামে। উদ্দেশ্য হল, নামি সংস্থাগুলি যেভাবে প্রচুর বিজ্ঞাপনী চমকের পরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাজারের হার্টবিট বুঝতে পারেনি, তা সেলিব্রেট করা।

যেমন ধরুন, কোলগেটের নাম আমরা জানি টুথপেস্টের জন্য। জানেন কি, কয়েক দশক আগে বরফে জমানো খাবার বিক্রিরও চেষ্টা করেছিল তারা? মিউজিয়াম অফ ফেলিওরে এই সব জিনিসপত্রই থাকবে।



তারপর ধরুন গুগল গ্লাস। বিশ্বের চশমা প্রযুক্তিতে বিপ্লব আনার কথা বলে এসেছিল এই প্রোডাক্ট। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে মানুষ বুঝে ফেলেন, প্রচুর দাম ছাড়া এই জিনিসের আর কোনও মূল্য নেই।

ওয়েস্ট মনে করেন, ছোটখাটো ব্যর্থতাই মানুষের বড় সাফল্যের সোপান। এর মধ্যে ব্যক্তিগত ব্যর্থতা থাকতে পারে, তেমনই থাকতে পারে পেশাদারি ব্যর্থতা। তাঁর মিউজিয়ামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই সব ব্যর্থতারই এক একটা জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। যেমন ধরুন কোকা কোলা আর কফির সংমিশ্রণ। কোকা কোলা বাজারে হিট, কফিও। কিন্তু কফি-কোকের এই মিক্সচার বাজারে একেবারেই চলেনি।

হার্লে ডেভিডসন বাইক কোম্পানি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন, জানেন? তারা কোলন বার করেছিল লেজেন্ডারি হার্লে ডেভিডসন নামে। কিন্তু যাঁরা মোটর সাইকেল ভালবাসেন, তাঁরা যে পারফিউমও ভালবাসবেন, এমন গ্যারান্টি দেওয়া যায় কি?



এই মিউজিয়ামে জায়গা পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও। ১৯৮৯-এ একটি অনলাইন গেম বার করে তাঁর কোম্পানি, এতে খেলোয়াড়দের সম্পত্তি কেনা বেচা করতে হত। বলা বাহুল্য, একেবারেই চলেনি বাজারে।