নয়াদিল্লি: অতিমারির তিন বছরে অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও তীব্রতর হওয়ার মুখে। নিত্যদিন কর্মী ছাঁটাই করছে তাবড় সংস্থা। তাতে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি নিয়েও দেখা দিয়েছে আশঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করল তাইওয়ানের (Taiwan) একটি সংস্থা (Mega Bonus)। বিগত বছরে ব্যবসায় মুনাফার জন্য কর্মীদের বোনাস বাবদ চার বছরের বেতন দেওয়া হয়েছে ওই সংস্থায় (Evergreen Corp)।
নজিরবিহীন পদক্ষেপ করল তাইওয়ানের জাহাজ সংস্থার
তাইওয়ানের এভারগ্রিন মেরিন কর্প. এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি একটি জাহাজ সংস্থা। ২০২২-এ মুনাফার নিরিখে কর্মীদের ৫০ মাসের বেতন বোনাস বাবদ হাতে ধরিয়েছে তারা, চার বছরের হিসেবে দু'মাস বেশিই। তাইওয়ানে থেকে, সে দেশের বেসরকারি সংস্থার চুক্তি মেনে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরাই এই বোনাস পাচ্ছেন।
গোটা বছর সংস্থার ব্যবসা কেমন ছিল, কত মুনাফা ছিল, তার ভিত্তিতেই বর্ষশেষের বোনাস দেওয়া হয় বিভিন্ন সংস্থায়। কর্মীদের কাজেরও তুল্যমূল্য বিচার হয় তাতে। তবে ৫০ মাসের বেতন বোনাস বাবদ দেওয়া নিয়ে শোরগোলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তাইওয়ানের ওই সংস্থা। সব কিছু সুষ্ঠ ভাবেই এগিয়েছে, সব কিছু বিচার করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
তবে এভারগ্রিন মেরিনের এমন নজিরবিহীন পদক্ষেপ আসলে জাহাজ ব্যবসার বর্ধিত রূপই ফুটিয়ে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বিগত দুই বছরে ক্রমশ ফুলেফেঁপে উঠেছে জাহাজ ব্যবসা। অতিমারির পর বিভিন্ন দেশে নানা পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। তাতেই এই সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২২ সালে তাইওয়ানের ওই সংস্থার মুনাফা ২০৭০ কোটি ডলারের কাছাকাছি বলে জানা যাচ্ছে, যা তাদের ২০২০- মুনাফার তুলনায় তিন গুণেরও বেশি।
তাইওয়ানে চুক্তিবদ্ধ কর্মীদেরই এই বিপুল পরিমাণ বোনাস
২০২১ সালেও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল তাইওয়ানের ওই সংস্থা, এভারগ্রিন মেরিন। তবে সেবার কারণ ছিল সম্পূর্ণ অন্য। সুয়েজ খালে আটকে গিয়েছিল তাদের একটি জাহাজ। এর আগে, ২০২১ সালে সংস্থার শেয়ারে ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। তার পর যদিও গতবছর ৫৪ শতাংশ পতন ঘটে। তবে কর্মীদের এ ভাবে পরিশ্রমের স্বীকৃতি জানানোর বিষয়টি ইতিমধ্যেই মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও তাইওয়ানের বাইরে, শাংহাই থেকে যাঁরা কাজ করেন সংস্থার জন্য, তাঁরা এত বোনাস পাননি। বেতনের পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি টাকাই বোনাস হিসেবে ধরানো হয়েছে তাঁদের।