নয়াদিল্লি: সাম্প্রতিক কালে প্রায়শই শিশু ও নাবালকদের মধ্য়ে অ্য়াসথমা, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এই নিয়ে একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য। মূলত ২টি বায়ুদূষক, ওজোন এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা (Fine Particulate Matter)-এর জন্যই কম আয়ের শহর-অঞ্চলের (Low Income Urban Areas) শিশু ও নাবালক-কিশোরদের মধ্যে নন-ভাইরাল অ্য়াসথমা অ্যাটাকের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, আমেরিকার বিজ্ঞানীদের করা একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।


দুটি দূষক পদার্থের সংস্পর্শে আসা এবং শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে হওয়া পরিবর্তনের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বের করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়।


এটি একটি পর্যবেক্ষণমূলক সমীক্ষা। আমেরিকার, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ (NIH)-এর অর্থ সাহায্যে এই সমীক্ষা হয়েছে। শহর অঞ্চলের বাতাসে কিছু দূষিত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং সেখানে শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত ভাইরাস ছাড়া অন্য কারণে অ্যাজমা অ্যাটাকের কারণে শ্বাসযন্ত্রের যে পরিবর্তন হয়- এই দুটির মধ্যে সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এই সমীক্ষার মধ্যে। 


কোথায় প্রকাশিত হয়েছে:
ল্যান্সেট প্ল্যানেটারি হেল্থ (Lancet Planetary Health)-জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা পত্র। 


NIH-এর একটি অংশ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ অ্য়ালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (National Institute of Allergy and Infectious Diseases)-এর অ্যাক্টিং ডিরেক্টর হিউ অউচিনক্লোস (Hugh Auchincloss) জানিয়েছেন, কিছু দূষিত পদার্থের সঙ্গে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শহর অঞ্চলের শিশুদের নন-ভাইরাল অ্যাজমা অ্যাটাকের একটা যোগ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এর থেকেই এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে যে বায়ু দূষণ কমলেই এখানে স্বাস্থ্যের উন্নতি সম্ভব।


অ্যাজমা কী?
শ্বাসযন্ত্র এবং লাগোয়া অংশের প্রদাহ থেকে অ্যাজমা হয়ে থাকে। অ্যাজমা অ্যাটাকের সময় শ্বাসযন্ত্রের বায়ু চলাচলের পথ ভিতর থেকে ফুলে যায়, পেশি সংকোচন হয়, অতিরিক্ত সর্দি উৎপন্ন হয়ে বায়ু চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। 


কীভাবে সমীক্ষা:
এই সমীক্ষা মূলত আমেরিকার দরিদ্র শহর-অঞ্চলের শিশু ও নাবালকদের উপর হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, এই এলাকায় থাকা নাবালকরা অ্যাজমার শিকার সবচেয়ে বেশি। ৬-১৭ বছরের নাবালকদের উপরের ২০৮ জনের উপর সমীক্ষা হয়েছে। দুবার শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত সমস্যার সময় পরীক্ষা করা হয়েছে। মোটামুটি এক একজনের উপর ৬ মাস ধরে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রে অসুস্থতার সঙ্গে বাতাসের মান (AQI) মিলিয়ে দেখা হয়েছে। সরকারি ভাবে ওই এলাকায় বাতাসের দূষক নিয়ে কী কী তথ্য় রয়েছে, নজর রাখা হয়েছে তাতেও।  


এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে হাঁপানি সংক্রান্ত সমস্যা সুরাহা করার বিষয়ে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। বায়ুদূষণ কমানোর পাশাপাশি, হাঁপানির চিকিৎসায় নতুন কোনও ভাবনার অবকাশও রয়েছে এই গবেষণায়। এমনটাই বলা হয়েতে গবেষণাপত্রে।


আরও পড়ুন: ধৃত জঙ্গিদের ডায়েরিতে কীসের শপথ? আরও লিঙ্কম্যানের খোঁজ?