কাবুল: বিদেশি সেনা সরতেই দখলদারির গতি বাড়াল তালিবান। দখল করে নেওয়া হয়েছে আফগান প্রদেশের রাজধানী জরঙ্গ। এই খবর নিশ্চিত করেছে খোদ আফগান সরকার।
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ডেপুটি গভর্নর রুহ গুল খ্যারজাদ জানিয়েছেন, নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী জরঙ্গ এখন তালিবানের হাতে। দক্ষিণ-পশ্চিম আফগানিস্তানের এই অঞ্চল ইরানের সীমান্ত লাগোয়া। সেখানে যুদ্ধ ছাড়াই জিতে গিয়েছে তালিবান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিও। যেখানে রাস্তায় জঙ্গিদের উল্লাস ধরা পড়েছে। তবে ভিডিওর সত্যতার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শুক্রবারই আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম ও তথ্য বিভাগের প্রধান দাওয়া খান মীনাপালকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তালিবান। কদিন আগেই তালিবানি ঘাঁটিতে বিমান হানা বাড়ানোর জন্য সরকারকে হুঁশিয়ার করেছিল জঙ্গিরা। এরজন্য প্রশাসনের মাথাদের ভুগতে হবে বলেছিল তারা। মীনাপালকে হত্যা করে এবার বিমান হামলার বদলা নিল তালিবান।
এই হত্যার প্রসঙ্গে তালিবানের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, ‘দাওয়া খান মীনাপাল তাঁর কাজের শাস্তি পেয়েছে। বিশেষ মুজাহিদিন হামলায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।’এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে আফগান সরকার। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন সাপ্তাহিক প্রার্থনার করতে গেলে সেখানেই জঙ্গিরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছে।
আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র মীরওয়াইস স্তানিকজাই জানিয়েছেন, ‘দাওয়া খান মীনাপাল শত্রুদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি সবসময় আফগানিস্তান সরকারকে সমর্থন করে গিয়েছেন।’আফগানিস্তান সরকারের সংবাদমাধ্যম ও তথ্য বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির মুখপাত্র হিসেবেও কাজ করতেন মীনাপাল। তিনি পাকিস্তান ও তালিবানের কট্টর-বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই কারণেই তাঁকে তালিবানদের হামলার শিকার হতে হয়েছে।
আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক চিত্র বলছে, সেনার সঙ্গে নিত্যদিন তালিবানি জঙ্গিদের লড়াই চলছে। দেশের একটি বড় অংশ এখন তালিবানিদের দখলে। যা উদ্ধার করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আফগান সেনা। তবে এখনও পর্যন্ত তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ সাফল্য পায়নি সেনাবাহিনী। উল্টে একের পর এক হাতছাড়া হয়ে চলেছে প্রদেশের বহু এলাকা।