নয়াদিল্লি : তালিবান শাসনে আফগানিস্তানে ফের নৃশংস ছবি। গলা কেটে আফগান মহিলা জুনিয়র ভলিবল খেলোয়াড়কে খুন করল তালিবান। জাতীয় দলের ওই খেলোয়াড়ের নাম মেহজাবিন হাকিমি।


আফগান মহিলা জুনিয়র ভলিবল দলের প্রশিক্ষক একটি সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, চলতি মাসেই জুনিয়র ভলিবল খেলোয়াড় মেহজাবিন হাকিমিকে গলা কেটে খুন করা হয়। তালিবান মহিলা ভলিবল খেলোয়াড়ের পরিবারকে হুমকি দেওয়ায় খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসেনি। আফগানিস্তানের দখল তালিবানের হাতে চলে যাওয়ার আগে কাবুল মিউনিসিপ্যালিটি ভলিবল ক্লাবে খেলতেন মেহজবিন। দিনকয়েক আগে সেই মেহজবিনের গলা কাটা দেহের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। 


সম্প্রতি মাহজবিনের গলা কাটা দেহের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। মর্মাহত কোচ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ওই দলের মাত্র ২ জন সদস্য দেশ ছাড়তে পেরেছেন। বাকিদের মধ্যে মাহজাবিন হাকিমিকে প্রাণ দিতে হয়েছে তালিবানের হাতে।                                 





 


 

কিছুদিন আগেই , প্রকাশ্যে চারজনকে গুলি করে মারার পর ক্রেনে তাদের দেহ ঝুলিয়ে দেয় তালিবান। এই নৃশংস দৃশ্য দেখা গিয়েছে পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাত শহরে। তালিবানের দাবি, যাদের গুলি করে মারা হয়েছে, তারা অপহরণকারী। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। হেরাত প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর মাওলাওয়ালি শির আহমেদ মুহাজির বলেছেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় চারটি মৃতদেহ প্রদর্শন করা হচ্ছে। অপহরণের মতো অপরাধ সহ্য করা হবে না, এই বার্তা দেওয়ার জন্যই হত্যা করা হয়েছে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও, ছবিতে দেখা গিয়েছে, পিক-আপ ট্রাকে করে দেহগুলি নিয়ে এসে ক্রেনে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হেরাতের একটি জনবহুল জায়গায় ক্রেন থেকে একটি মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেহটির বুকে লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘অপহরণকারীদের এভাবেই শাস্তি দেওয়া হবে।’