ঢাকা: বাংলাদেশে অশান্তি। বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়। ওপার বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এপার বাংলার বিশিষ্টরা। বাংলাদেশে অশান্তির বিরোধিতায় শনিবার শতাধিক দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে ইসকন। তবে অশান্তির ছবি প্রকাশ করায় বাংলাদেশে তাদের ট্যুইটার হ্যান্ডল বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে সরব হয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ।


ঘর-বাড়ি-দোকানে ভাঙচুর, ইসকনের মন্দিরে হামলা, কুমিল্লা থেকে রংপুর, চট্টগ্রাম থেকে সিলেট একের পর এক ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। এই প্রেক্ষাপটেই ওপার বাংলার এবং এপার বাংলার সাধারণ মানুষ একদিকে যেমন প্রতিবাদে সরব হয়েছেন, তেমনই বিতর্কও থামছে না। ইসকন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনা তুলে ধরায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি ট্যুইটার হ্যান্ডল।


প্রতিবাদে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। কলকাতা ইসকনের সভাপতি রাধারমণ দাস বলেন, হিংসার খবর দেওয়ায় ইসকনের একাধিক ট্যুইটার হ্যান্ডেল বন্ধ করা হয়েছে, এখনও হিংসা বন্ধ হয়নি বাংলাদেশে। বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।



এদিকে,পুজোর মরসুমে বাংলাদেশে অশান্তির প্রেক্ষিতে সোচ্চার হয়েছেন এপার বাংলার বিদ্বজ্জনেরা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও পদ্মার ওপারে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। এরইমধ্যে অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্ণা সেন ট্যুইট করে বলেছেন, "বাংলাদেশে হচ্ছেটা কী? দেশটা কি পাকিস্তানে পরিণত হচ্ছে? খালি শুনছি বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে! তাঁদের খুন করা হচ্ছে! বন্ধ করুন! দয়া করে এসব বন্ধ করুন! গোটা বিশ্ব অশান্ত হয়ে উঠছে।" 


তবে এপার বাংলার বিদ্বজ্জনেরা বাংলাদেশে হামলার ঘোর নিন্দা করে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেও, তাঁদের ভূমিকায় সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট নয় বিজেপি। যদিও বাংলাদেশে অশান্তির প্রেক্ষাপটে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করেছে শেখ হাসিনার সরকার। জারি রয়েছে ধরপাকড়। সেদেশের সরকার সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে এখনও অবধি ৭১টির বেশি মামলা রুজু হয়েছে। সাড়ে চারশোর বেশি গ্রেফতার।