কাবুল: শীঘ্রই আফগানিস্তানে সরকার গঠন করতে চলেছে তালিবানরা। এই বিষয়ে রবিবারই বিবৃতি দিয়েছে তারা। তালিবানি মুখপত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন যে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এই বিষয় কথা চলছে এরমধ্যেই। খুব তাড়াতাড়ি সরকার গঠন করা হবে। এই বিষয়ে তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, 'কাবুলে নেতাদের সঙ্গে আমাদের দেখা করেছে আমাদের রাজনৈতিক নেতারা। তাদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ। আলোচনা চলছে। ইনশাল্লাহ, শীঘ্রই সরকারের বিষয়ে ঘোষণা করা হবে।' শনিবারই তালিবানদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ডেপুটি লিডার আবদুল ঘনি বরাদর কাবুলে পৌঁছেছিলেন। সেখানেই প্রাথমিকভাবে আফগান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আলোচনা হয় সরকার গঠন নিয়ে। সেদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গেও আলোচনা করেন তালিবান নেতারা।
এদিকে, পঞ্জশির দখলে ফের ব্যর্থ তালিবান। পঞ্জশিরে ঢোকার মুখেই তালিবানকে রুখে দিল পিপলস রেজিস্ট্যান্স ফোর্স। বাগলনের আন্দারাবেই আটকে গেল তালিবান বাহিনী। দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু, আহত বহু। বিরোধী জোটের প্রত্যাঘাতে পিছু হটল তালিবান। অস্ত্র-সহ আত্মসমর্পণ তালিবান বাহিনীর। আন্দারাবে আরও বাহিনী পাঠানো হচ্ছে, জানানো হয়েছে তালিবানদের তরফে।
অন্যদিকে ত্রাসের দেশ আফগানিস্তান থেকে ভারতে ফিরলেন প্রায় ৪০০ জন। রবিবারই ভারতের মাটি ছুঁয়েছে একটি বায়ুসেনার বিমান-সহ মোট চারটি বিমান। রবিবার ভোরে তাজিকিস্তান হয়ে দেশে ফেরানো হয় ৮৭ জনকে। পরে কাবুল থেকে ১৬৮ জনকে নিয়ে দেশে ফেরে বায়ুসেনার বিমান। যাঁদের মধ্যে ১০৭ জন ভারতীয়, বাকিরা অন্যান্য দেশের নাগরিক। এই বিমানেই ভারতে পৌঁছেছেন আফগানিস্তানের দুই সাংসদও। বাকিরা দেশে ফেরেন আরও দু’টি বেসরকারি সংস্থার বিমানে। ‘আফগানিস্তানে আটকে থাকা প্রত্যেক ভারতীয়কে উদ্ধারে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র,’ আশ্বাস কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। এদিকে, আফগানিস্তান থেকে দেশে ফেরানো হচ্ছে আরও ১৪৬ জনকে। ইতিমধ্যেই কাবুল থেকে তাঁদের দোহায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে আজই ফেরানো হবে ভারতে, জানানো হয়েছে কাতারের দোহায় ভারতীয় দূতাবাসের তরফে।