ইসলামাবাদ: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে উরির ঘটনার পর। ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় সীমান্তের ওপারেও তৈরি থাকার তত্পরতা চলছে বলে নানা সূত্রের খবর। গতকাল রাতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আকাশে চক্কর মেরেছে বলে শোনা যাচ্ছে। পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মির নিজে ট্যুইট করে জানিয়েছেন এ কথা। আচমকা বিমানের গর্জন শুনে আতঙ্কে লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে বলেও জানান তিনি। জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে ধরে নিয়ে গতকাল থেকে লাহোর -ইসলামাবাদ-পেশোয়ার মোটরওয়ে বন্ধ রেখে সেখানে পাক বায়ুসেনার জেটবিমানের ওঠানামা চলছে। হাইওয়েতে স্বাভাবিক পরিবহণ বন্ধ রাখা হয়েছে। যদিও পাক বায়ুসেনার দাবি, উরি হামলার অনেক আগেই ‘হাইমার্ক’ নামাঙ্কিত কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবেই মোটরওয়ের বুকে নেমেছে তাদের যুদ্ধবিমান।


পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের ট্যুইটারে মন্তব্য, আমাদের আকাশের পাহারাদার, রক্ষকরা লাগাতার প্রস্তুতির অবস্থায় রয়েছে। আমাদের মোটরযান চলার রাস্তা এখন রানওয়ে।

এর আগে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে উত্তরের আকাশপথও বন্ধ করে দেওয়া হয়।  বায়ুসেনার বিমানকে মহড়া চালানোর সুযোগ দিতে সেখানে যাবতীয় অসামরিক বিমান চলাচলও স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তান অবশ্য সরকারি ভাবে উরির ঘটনার পর প্রতিবেশী ভারতের সম্ভাব্য প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা থেকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কথা স্বীকার করছে না। যদিও পাক কর্তারা দাবি করছেন, যে কোনও হামলার মোকাবিলায় তৈরি তাঁরা।

এরই মধ্যে সামনের সারির পাক দৈনিক দি নিউজ-এর খবর, ‘ভারতের যে কোনও হঠকারিতা ও শত্রুর তরফে যে কোনও ধরনের হামলা হলে যোগ্য জবাব’ দেওয়ার জন্য অপারেশনের ছক তৈরি করে রেখেছে পাক প্রতিরক্ষা বাহিনী। ভারতের কোন কোন টার্গেটে হামলা করা হবে, তাও বাছাই করে ফেলা হয়েছে। প্রতিরক্ষা সূত্রকে উদ্ধৃত করে দৈনিকটি বলেছে, ভারতের যে কোনও সামরিক চ্যালেঞ্জ রুখতে পুরোপুরি তৈরি পাকিস্তান। আমাদের অপারেশন সংক্রান্ত প্ল্যান মজুত। সম্ভাব্য নিশানাও স্থির করে ফেলা হয়েছে।