ব্যাঙ্কক:  তাইল্যান্ডের এক ব্যক্তি নিজের ১১ মাসের কন্যা সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন করলেন। এই পুরো ঘটনাটি তিনি আবার ফেসবুকে লাইভও করেছেন। মেয়েকে হত্যার পর সেই ব্যক্তি নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তাঁর আত্মহত্যার ঘটনাটি ফেসবুক লাইভে দেখা না গেলেও, মেয়ের নিথর দেহের পাশে ওই ব্যক্তির দেহ ফেসবুক লাইভেই পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, পুরো ২৪ ঘণ্টা ফেসবুকে ওই শিশুর হত্যার ঘটনাটি লাইভে দেখা গিয়েছে। এরপর ফেসবুকের ব্যাঙ্ককের প্রতিনিধি পরে সেই ভিডিওটি বিকেল পাঁচটার সময় ফেসবুক থেকে নামিয়ে নেন।


ফেসবুকের সিঙ্গাপুরের এক মুখপাত্রের দাবি, এই ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা এভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে তাঁরা কার্যত স্তম্ভিত। মেয়েটির মা এবং ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে সমবেদনা জানানোর কোনও ভাষাই তাঁদের কাছে নেই বলেও মন্তব্য করেছেন ওই ব্যক্তি। এমনকি এধরনের বিষয়ের ফেসবুকে কোনও স্থান নেই, কারণ এই ঘটনার প্রভাব মানুষের মনে মারাত্মক ভাবে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন সেই মুখপাত্র।

খুন, আত্মহত্যা, ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির ভিডিও ফেসবুকে লাইভ করে দেওয়ার ঘটনা ইদানিং মাঝেমধ্যেই ঘটছে। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার সুইডেনের এক আদালত তিন ব্যক্তিকে হাজতবাসের নির্দেশ দেয়, যারা এক মহিলাকে ধর্ষণ করে, এবং সেই ঘৃণ্য ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ করে দেয়।

গত সপ্তাহেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, তাঁরা নতুন নিয়ম আনছেন, যার মাধ্যমে এখানে পোস্ট করা বিভিন্ন হিংস্র ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মেশিনে ধরা পড়বে, এবং তাঁরা সেধরনের বিষয় ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেবেন।