লন্ডন: ডুবে যাওয়া টাইটানিকে ছিলেন তিনি। মৃত্যুর পর শরীর থেকে উদ্ধার হয় পোস্ট না করা একটি চিঠি। সেই চিঠিই গতকাল লন্ডনে বিক্রি হল ১৬৬,০০০ ডলারে।

চিঠিটি লিখেছিলেন জাহাজের প্রথম শ্রেণির যাত্রী আলেকজান্ডার ওস্কার হলভারসন। লিখেছিলেন মাকে। তাতে প্রাসাদোপম জাহাজ সম্পর্কে মুগ্ধতা ছিল, ছিল খাবার আর গানবাজনার প্রশংসা।

বরফের চাঁইতে ধাক্কা লাগার আগে তিনি লেখেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার সকালে নিউ ইয়র্ক পৌঁছে যাব আমরা।

আমেরিকার মিনেসোটার সেলসম্যান ছিলেন হলভারসন। টাইটানিকে চড়েন স্ত্রী মেরি অ্যালিসের সঙ্গে। তবে বেঁচে যান মেরি। হলভারসনের লেখা ওই চিঠি টাইটানিকের সম্ভবত শেষ স্মারক, যা সমুদ্রে ডুবেও শেষ হয়ে যায়নি, যাতে টাইটানিকের স্পর্শ রয়েছে।

ব্রিটেনের ডেভিজেস শহরে এক নিলামে হলভারসন পরিবার বিক্রি করল চিঠিটি। একইসঙ্গে বিক্রি হল টাইটানিকের লোহার চাবি, ৭৬,০০০ পাউন্ডে।

১৯১২-র ১৪ এপ্রিল আটলান্টিকের তলায় থাকা বরফের চাঁইতে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জাহাজ টাইটানিক। মারা যান দেড়হাজারের বেশি মানুষ।