পাকিস্তান দাবি করেছে, এর উদ্দেশ্য একটাই, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিইসির কাজকর্মে লিপ্ত মানুষ যাতে আরও ভালভাবে কথাবার্তা বলতে পারেন, সে জন্য এভাবে চিনা ভাষাকে নিজেদের দেশের সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া। এর ফলে দুদেশের সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে।
ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক অফ চায়না পাকিস্তানকে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। তার ৩ দিন পরেই ইসলামাবাদের এই পদক্ষেপ। আমেরিকায় নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানি বলেছেন, পাকিস্তান তৈরির ৭০ বছরের মধ্যেই ৪টি বিদেশি ভাষাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তাঁরা, সেগুলি হল ইংরেজি, উর্দু, আরবি ও এখন চিনা। অথচ এগুলির একটিও পাকিস্তানিদের মাতৃভাষা নয়। বঞ্চনা করা হচ্ছে স্থানীয় ভাষাকে।
পাকিস্তানে মূলত চালু ভাষা পঞ্জাবি, পাস্তু ও অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা। সেগুলির একটিকেও সরকারি ভাষা বলে এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানিরা বুঝতে পারছেন, চিনা ভাষা শিখলে দেশে ও চিনে উভয় জায়গাতেই কাজের সুযোগ বাড়বে, তাই তাঁরা সকলেই এই ভাষা শিখতে চান।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করেছে, পাকিস্তান খুব দ্রুত মার্কিন মুঠো থেকে বেরিয়ে চিন ঘেঁষা হওয়ার চেষ্টা করছে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় বিঘ্নিত হবে মার্কিন স্বার্থ।