ওয়াশিংটন: ভারত-মার্কিন বাণিজ্য ইস্যুতে ফের সরব ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ২৮ জুন জাপানের ওসাকায় জি-২০ সামিটের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদির মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী- উভয়েই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন, বিরোধ মেটাতে দুদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের ব্যাপারেও একমত হয়েছিলেন। কিন্তু তার কয়েকদিন বাদেই ট্রাম্প ভারতকে আক্রমণ করে ট্যুইট করলেন, আমেরিকার পণ্যের ওপর কর, শুল্ক চাপিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব করেছে ভারত। এটা আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না!
চলতি সপ্তাহেই মার্কিন বাণিজ্য সচিব উইলবার রস ও শক্তি সচিব রিক পেরির ওয়াশিংটন ডিসি-তে বড় ধরনের ভারত কেন্দ্রিক সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার কথা।



ট্রাম্প তাঁর ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির পক্ষে সওয়াল করে বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতের কঠোর সমালোচনা করছেন। ভারত মার্কিন পণ্যের ওপর খুবই চড়া হারে শুল্ক চাপাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি, ভারতকে ‘শুল্ক সম্রাট’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
বাণিজ্য ভারত ও আমেরিকার ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিক। তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক কয়েক মাসে বাজারে জায়গা দেওয়া ও শুল্কের ইস্যুতে বিবাদ চলছে দুদেশের, যা থেকে দীর্ঘকালীন সংঘাতের বিপদ মাথাচাড়া দিয়েছে।
মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের আগেও ট্রাম্প ট্যুইট করেছিলেন, ভারত বেশ কয়েক বছর ধরে আমেরিকার বিরুদ্ধে চড়া হারে শুল্ক বসিয়েছে। অতি সম্প্রতি শুল্ক বাড়িয়েছে আরও। এটা মেনে নিতে পারছি না। শুল্ক অবশ্যই তুলে নিতে হবে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলার অপেক্ষায় রয়েছি।
ভারত কাঠবাদাম, ডাল ও আখরোট সহ আমেরিকা থেকে আমদানি হয় এমন ২৮টি পণ্যে সম্প্রতি শুল্ক বাড়ায়। ভারতীয় পণ্যের আমেরিকার বাজারে ঢোকায় অগ্রাধিকার তুলে নিয়েছিল ওয়াশিংটন। পাল্টা ওই পদক্ষেপ করে ভারত।
হার্লে ডেভিডসন মোটরসাইকেলের ওপর ভারতের চড়া শুল্ক চাপানোরও তীব্র সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছিলেন, এটা সহ্য করা যায় না। তিনি একে ‘অন্যায়’ বলেন, আমেরিকার বাজারে ভারতে তৈরি বাইক আমদানির ওপরও শুল্ক বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দেন। তখন হার্লে ডেভিডসনের মতো আমদানি করা বাইকের ওপর অন্তঃশুল্ক ৫০ শতাংশ হ্রাস করে ভারত।