ওয়াশিংটন: কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে সুর না চড়িয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সংযত থাকতে বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে টেলিফোনে কথা বলেন। গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে ট্রাম্প দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
প্রথমে ট্রাম্প মোদির সঙ্গে কথা বলেন। মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, এই অঞ্চলের কিছু নির্দিষ্ট নেতার লাগামছাড়া বাগাড়ম্বর ও উস্কানি এবং ভারত-বিরোধী হিংসা শান্তির পক্ষে অনুকূল নয়। এরপরই ট্রাম্প ইরমানকে ফোন করে সংযত থাকার বার্তা দেন।
মোদির সঙ্গে ৩০ মিনিট টেলিফোনে কথা বলার পর ট্রাম্প ইমরানের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেন।
সোমবার ট্রাম্প ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও পাক প্রধানমন্ত্রী খানের সঙ্গে বাণিজ্য, কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে ভারত ও পাকিস্তানের উদ্যোগ নিয়ে কথা হয়েছে।
'পরিস্থিতি কঠিন' হলেও দুই নেতার সঙ্গে ফলপ্রসু কথা হয়েছে বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ইমরান ও ট্রাম্পের টেলিফোনে কথপোকথন সম্পর্কে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা ও সুর নমনীয় করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রেসিডেন্ট পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
উল্লেখ্য, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার অব্যাহত রেখে গত রবিবারই ইমরান ভারত সরকারকে 'ফ্যাসিবাদী'' ও 'আধিপত্যবাদী' বলে তোপ দেগেছিলেন। কিন্তু ইমরানের এ ধরনের মন্তব্য যে উত্তেজনা প্রশমনের পক্ষে আদৌ অনুকূল নয়, তা তাঁকে সমঝে দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি কাশ্মীর নিয়ে অযথা উত্তেজনা না ছড়াতে ইমরানকে পরামর্শ দিয়েছেন। উত্তেজনার পারদ যাতে না চড়ে সেজন্য সংযত থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউসের প্রিন্সিপাল ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হোগান গিডলে বলেছেন, আঞ্চলিক পরিস্থিতি ও ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনার জন্য ট্রাম্প মোদির সঙ্গে কথা বলেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মোদি সন্ত্রাস ও হিংসামুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা এবং সীমান্তপারের সন্ত্রাস সম্পূর্ণ বন্ধের বিষয়গুলি তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক প্রেস বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, কাশ্মীর ইস্যুটি ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নিতে ইমরানকে পরামর্শ দেওয়ার দুই দিন পর ট্রাম্প মোদির সঙ্গে কথা বলেন।