ওয়াশিংটন: মার্কিন অর্থনীতির বৃদ্ধির হার হ্রাস পাওয়ার জন্য ভারতকে দেখিয়ে বারাক ওবামাকে বিঁধলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সর্বশেষ আর্থিক বিশ্লেষণের তথ্যে প্রকাশ, ২০১৬-র তৃতীয় কোয়ার্টারে মার্কিন অর্থনীতির বৃদ্ধি হয়েছে বার্ষিক ২.৯ শতাংশ হারে। এই প্রেক্ষাপটেই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর প্রশ্ন, ভারতের মতো বড় দেশে বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ, তাহলে আমেরিকা কেন পারে না।


নিউ হ্যাম্পশায়ারের ম্যাঞ্চেস্টারে নির্বাচনী সভায় ট্রাম্প বলেন, শেষ কোয়ার্টারে আমরা ছিলাম এক শতাংশ। গত সপ্তাহে আমাদের কর্মসংস্থানের সংখ্যা ছিল ভয়াবহ, রক্তশূন্য বলতে যা বোঝায়। আধুনিক ইতিহাসে ওবামাই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যাঁর আমলে কোনও বছরেই আর্থিক বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশ ছাড়ায়নি। ওদের কথায়, বিরাট দেশ, তাই এটা কঠিন। আমেরিকার পক্ষে দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধি সম্ভব নয়। তাহলে ভারত তো আরও বড় দেশ। ওদের হার ৮ শতাংশ!

ভোটে নির্বাচিত হলে আমেরিকার আর্থিক বৃদ্ধির হার চার শতাংশে নিয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। এও বলেন, আর্থিক বৃদ্ধির নতুন হার প্রকাশিত। এ বছর গড় বৃদ্ধির হার ১.৫ শতাংশ, হতাশাজনক। চিন জিডিপির ৭ বা ৮ শতাংশে নেমে গেলে জাতীয় বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হবে। চিন সাত শতাংশে খুশি নয়। আমরা কোনওমতে এগচ্ছি, কাজ চলে যাচ্ছে মেক্সিকো, অন্য সর্বত্র। ৪৫  মিলিয়ন মার্কিন গরিবির মধ্যে রয়েছে। রিয়েল এস্টেট ধনকুবেরের দাবি, মার্কিন ভোটারদের সঙ্গে তাঁর এমন এক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে যা দুর্নীতির অবসান ঘটিয়ে সরকারকে মানুষের কাছে ফের নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ৮ নভেম্বর জিতলে আমরা ওয়াশিংটন ডিসি-তে পা রাখব, আবর্জনা সরাব। চাই, কথাগুলি দুর্নীতিবাজ গোটা ওয়াশিংটন প্রতিষ্ঠান কথাগুলি ভাল করে শুনে নিক।

ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন বিশ্বের বুকে আইসিস-কে চাপিয়ে দিয়েছেন বলে তোপ দাগেন ট্রাম্প।