ওয়াশিংটন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব যে নেহাতই কথার কথা নয়, সেটা বুঝিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা না নেওয়ায় পাকিস্তানকে সামরিক খাতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিল পেন্টাগন। ২০১৬ অর্থবর্ষে পাকিস্তানকে সামরিক খাতে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য করার কথা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তার মধ্যে দেওয়া হয় ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাকি অর্থের মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আগেই অন্য খাতে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার বাকি ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারও দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিল পেন্টাগন। ফলে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়ল।


পেন্টাগনের মুখপাত্র অ্যাডাম স্টাম্প বলেছেন, প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস কংগ্রেসকে জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি। সেই কারণে ২০১৬ সালের অর্থবর্ষে পাকিস্তানকে সামরিক খাতে আর অর্থ সাহায্য করা হবে না। হোয়াইট হাউস দক্ষিণ এশিয়ায় রণকৌশল পর্যালোচনা করছে। তবে তার সঙ্গে পাকিস্তানকে সামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কোনও সম্পর্ক নেই। দক্ষিণ এশিয়ার রণকৌশল বদল নিয়ে আলোচনা চলছে।

সন্ত্রাসবাদ দমনে যথেষ্ট ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত কয়েক বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেই সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে,  পাকিস্তান এমন এক দেশ যা সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। সেখানে জঙ্গিরা অবাধে লালিত-পালিত হয়। এখানে ঘাঁটি গেড়ে অন্য দেশে হামলাও চালায় জঙ্গিরা। এবার আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।