ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, মাথায় সিএনএন লোগো সুপার ইমপোজ করা একজনকে আখড়ায় মেরে পাট পাট করে দিচ্ছেন ট্রাম্প। ভিডিওর নীচের দিকে একধারে আরও একটি লোগো, তাতে লেখা এফএনএন- ফ্রড নিউজ নেটওয়ার্ক।
দেখুন ভিডিওটি
কোত্থেকে এল এই ভিডিও? ২০০৭-এ ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেনমেন্টের রেসলিংম্যানিয়া ২৩-এর প্রমোশনে যোগ দেন। তখন অবশ্য তিনি রাজনীতির ধারেকাছে নেই, নেহাতই ধনকুবের শিল্পপতি। সে সময় ডব্লিউ ডব্লিউ ই-র চেয়ারম্যান ভিন্স ম্যাকমোহনকে লড়াইয়ের ছলে ঘুষি মেরে শুইয়ে দেন। ভিডিওয় ওই ম্যাকমোহনের মুখেই সিএনএনের লোগো জায়গা করে নিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সিএনএন সহ বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের মতানৈক্য নতুন কিছু নয়। ট্রাম্পের পুরনো অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট ভোটের সময়েও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের প্রতি চোখে পড়ার মত পক্ষপাত করে সিএনএন সহ বিশেষ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। এদের তিনি সম্বোধন করেন মার্কিন জনগণের শত্রু বলে। তাঁর মতে, প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলি সবই ব্যর্থ ও ফেক নিউজ। তবে তাঁর রাগ সব থেকে বেশি সিএনএনের ওপর।
স্বাভাবিকভাবেই খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ ধরনের ভিডিও পোস্ট করায় বহু মানুষ ক্ষুব্ধ। ক্ষুব্ধ সিএনএনও। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশের প্রেসিডেন্ট যখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঘৃণায় প্রশ্রয় দেন, তখন তা সত্যিই দুঃখের দিন।
যদিও হোয়াইট গৃহাউসের মন্তব্য, নির্দোষ ওই টুইট থেকে কারও কোনও বিপদ রয়েছে বলে মনে করে না তারা।