নিউইয়র্ক: মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট সাত দেশের শরনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা ধাক্কা খেল সে দেশেরই আদালতে। ওই দেশগুলির আটক শরনার্থী ও অন্যান্য ভিসা প্রাপকদের প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে সাময়িক জরুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন আমেরিকার এক বিচারক।

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের নির্দেশের পরই নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত দেশগুলি থেকে আসা ব্যক্তিদের বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে দুই ইরাকি নাগরিকের হয়ে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ)-র দায়ের করা পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন জেলা বিচারক অ্যান ডোনলি এই জরুরি নির্দেশিকা জারি করেছেন। যুক্ত বিচারক তাঁর নির্দেশে বলেছেন, মার্কিন রিফিউজি অ্যাডমিশনস প্রোগ্রামের অঙ্গ হিসেবে মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা কর্তৃক অনুমোদিত শরনার্থী আবেদন নিয়ে যাঁরা এসেছেন তাঁদের সরকার ফিরিয়ে দিতে পারে না। যাঁদের কাছে বৈধ শরনার্থী বা অ-শরনার্থী ভিসা রয়েছে এবং বৈধ ভিসা নিয়ে ইরাক, সিরিয়া, ইরান, সুদান, লিবিয়া, সোমালিয়া ও ইয়েমেন থেকে আসা অন্যান্যদের আমেরিকায় প্রবেশের আইনি অধিকার রয়েছে। আদালত বলেছে, বৈধ কাগজপত্র নিয়ে যাঁরা এসেছেন, দেশে ফেরত পাঠালে তাঁদের অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

মার্কিন বিমানবন্দরে আটকদের তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার জন্যও সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। কিন্তু যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের কী হবে, তা স্পষ্ট নয়।

এসিএলইউ-র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্টনি ডি রোমারিওর দাবি, মুসলিমদের প্রতি নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারক। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছে, কাউকে ফেরত পাঠানো যাবে না। সংস্থার শরনার্থীদের অধিকার সংক্রান্ত প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর বলেছেন, আদালতের নির্দেশ স্থিতাবস্থা বজায় থাকল। যাঁদের অনুমতি মঞ্জুর হয়েছে তাঁদের মার্কিন মুলুক থেকে হঠিয়ে দেওয়া যাবে না।

শুক্রবারই ইরাক, সিরিয়া সহ ৭ দেশের শরণার্থী ও নাগরিকদের ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ট্রাম্প প্রশাসন। যার জেরে জন এফ কেনেডি সহ দেশের একাধিক বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন হিলারি ক্লিনটন।