গাজিয়ানটেপ, তুরস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পের ( Turkey earthquake )পর কেটে গিয়েছে ৬ টা দিন। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে মিলছে প্রাণের সাড়া। আতঙ্ক যেন থামছেই না । রবিবার রাতে এর মধ্যেই আরও একবার কেঁপে উঠল তুরস্ক।                                 

  


 মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে                                   


নতুন এই কম্পনের ক্ষেত্রে রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৭। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দক্ষিণ তুরস্কেই নতুন করে কম্পন অনুভূত হয়। এবার কম্পনের উৎসস্থল কারমেমোরাস। পাশাপাশি চলছে উদ্ধারকাজ। তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছুঁইছুঁই। আহতের সংখ্যা ৮৭ হাজারের বেশি।                        


তুরস্কের মারাসের গণকবরস্থানে ( mass cemetery ) রবিবার পর্যন্ত অন্তত ৫০০০ মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে তুরস্ক ও সিরিয়ায় একের পর এক ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে শহর। কার্যত ধ্বংসস্তূপে  থেকে উদ্ধারকৃত মৃতদেহগুলোকে কবর দেওয়ার জন্য পাইন বনের একটি বড় অংশ সাফ করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের ভ্যান প্রতি মুহূর্তে ভ্যান কয়েক ডজন করে দেহ উদ্ধার করে আনছে। 


মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। পরিবারে জীবিতরা হন্যে হয়ে খুঁজছে আত্মীয়দের কবর। মৃতের সংখ্যা এতই বাড়ছে যেন আরও কবর খননের জন্য চব্বিশ ঘন্টা কাজ চলছে। বেশ কয়েকটি অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।  যাঁদের পরিবারে কেউ জীবিত আছেন, তাঁদের মৃতদেহ পরিষ্কার করতে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। সমাধিস্থ করার আগে প্রার্থনা করারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।                               






যে হারে দেহ বাড়ছে, তাতে আরও গণকবরের ব্যবস্থা করা হতে পারে।  সোমবার অষ্টম দিনে  চলছে জোরকদমে। 


১৯৩৯ সালে শেষবার এমনই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তুরস্কে। সেবারও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৩ হাজার মানুষ। আর সোমবারের মহাপ্রলয়ের পরও অব্যাহত মৃত্যুমিছিল।