আঙ্কারা: ব্যস্ত সময়ে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল তুরস্কের (Turkey) ইস্তানবুল শহর (Istanbul Blast)। রবিবার ছুটির দিনে কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন সাধারণ মানুষ। সেই সময়ই তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারিদিক। এখনও পর্যন্ত ছ'জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। বিস্ফোরণের নেপথ্যে কোনও অঘটন, নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ঘটানো হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। তবে এ দিনের ভয়াবহতায় সন্ত্রাসেরই গন্ধ পাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তইপ আর্দোয়ান (Recep Tayyip Erdogan)। 


তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল তুরস্কের ইস্তানবুল


বিস্ফোরণের পর এ দিন টেলিভিশন মারফত দেশবাসীকে বার্তা দেন আর্দোয়ান। সেখানে তিনি বলেন, "এখনই সন্ত্রাস হামলা বলে দেগে দিলে হয়ত পরে ভুল প্রমাণিত হতে হবে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে যে ইঙ্গিত মিলছে, তাতে এই বিস্ফোরণে সন্ত্রাসের গন্ধ পাচ্ছি আমরা। ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করতে সংশ্লিষ্ট দফতর কাজ করছে। এই ভয়ঙ্কর হামলার পিছনে কারা রয়েছে, তা সামনে আসবেই।"



রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে বেজে ২০ মিনিট নাগাদ ইস্তানবুলের তাকসিম স্কোয়ারের ব্যস্ত বাজারে এই বিস্ফোরণ ঘটে। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তাতে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গোটা এলাকা খালি করে দেওয়া হয়। হেলিকপ্টারে চেপে বিস্ফোরণস্থলে এসে পৌঁছয় কাতারে কাতারে পুলিশ, সেনা। 


আরও পড়ুন: Twitter Blue Subscription: ট্যুইটারে দ্রুত ফিরে আসবে 'ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশন', জানালেন খোদ ইলন মাস্ক


সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরণস্থল থেকে যে ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে পর পর দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ কানে যাওয়া মাত্র শুরু হয় দৌড়াদৌড়ি। আতঙ্কে প্রাণ হাতে করে পিছনের দিকে দৌড়তে থাকেন সাধারণ মানুষ। বিস্ফোরণের ফলে রাস্তায় বিরাট একটি গর্তও তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। এলাকায় শান্তি কায়েম রাখার আর্জি জানিয়েছেন তাকসিমের গভর্নর আলি ইয়েরলিকায়া। 


আগেও বিস্ফোরণ ঘটেছে ইস্তানবুলে, এ বারও সন্ত্রাসের গন্ধ পাচ্ছে সরকার


এর আগে, ২০১৫-'১৬ সালে নির্বাচনী প্রচার চলাকালীনও তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ইস্তিকলাল স্ট্রিট এলাকা। সে বার হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। তাতে কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ২ হাজারের বেশি মানুষ।