সান ফ্রান্সিস্কো: সন্ত্রাস মোকাবিলায় সামিল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটও।


সন্ত্রাসের প্রচার করার অভিযোগে বিশ্বব্যাপী ২ লক্ষ ৩৫ হাজার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করল জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার। এই নিয়ে বন্ধ হওয়া মোট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লক্ষ ৬০ হাজার।

২০১৫ থেকেই বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের প্রচার নির্মূল করতে সচেষ্ট ট্যুইটার। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মুক্ত চিন্তাধারার সঙ্গে সন্ত্রাসমূলক প্রচারের তফাত বের করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাদের।

ট্যুইটার জানিয়েছে, একদিকে তারা মুক্ত মতামত প্রকাশকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। অন্যদিকে, জঙ্গি  সংগঠনগুলি যাতে কোনওমতে হিংসাত্মক ও বিদ্বেষমূলক পোস্টের প্রচার না করতে পারে, তা নজর রাখাটাও ছিল জরুরি। ফলে, দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে চাপে ছিল সংস্থা।

প্রসঙ্গত, একই অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ১ লক্ষ ২৫ হাজার অ্যাকাউন্টকে নিষিদ্ধ করেছিল ট্যুইটার। কিন্তু, তারপরই বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস হামলা আরও বৃদ্ধি পায়।

এদিন ট্যুইটারের তরফে জানানো হয়েছে, আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি। একইসঙ্গে ট্যুইটারের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যকলাপের প্রচারকে নির্মূল করার অঙ্গিকারও করছি।

এদিন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এখন আরও দ্রুততার সঙ্গে সন্ত্রাস-মনস্ক পোস্টগুলিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। যার জেরে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলিকে ‘লক’ করে দেওয়ায় অনুগামীদের বিভ্রান্ত করা সম্ভব হয়েছে।

সম্প্রতি, ট্যুইটারের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে মামলা দায়ের করা হয় এই অভিযোগে যে, ইসলামিক স্টেটকে প্রচার করার জন্য নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করতে দিয়ে পরোক্ষে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে ট্যুইটার।

এর উত্তরে, মাইক্রো ব্লগিং সাইটের তরফে জানানো হয়, তাদের নীতিই হল সবাইকে নিজ নিজ বক্তব্যকে পেশ করতে দেওয়া। উপরন্তু, এই পোস্টগুলিকে তৈরি করেনি ট্যুইটার।

যদিও ট্যুইটার আদালতে অঙ্গীকার করে জানায়, যে কোনও প্রচার যা সংস্থার নীতি-বিরুদ্ধ হবে, সেগুলিকে নিষিদ্ধ করা হবে।