দুবাই: ২০১৯ সালকে ‘সহিষ্ণুতার বছর’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সেই ঘোষণা অনুযায়ী বিবাহ আইন ভেঙে এক হিন্দু পুরুষ ও মুসলিম মহিলার সন্তানকে জন্ম শংসাপত্র দেওয়া হল। ফলে ওই দম্পতি ও তাঁদের ৯ মাসের শিশুকন্যার সমস্যার সমাধান হল।

আমিরশাহীর একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে কেরলে বিয়ে হয় শারজার বাসিন্দা কিরণ বাবু ও সনম সাবু সিদ্দিকির। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে তাঁদের সন্তানের জন্ম হয়। আমিরশাহীর আইন অনুযায়ী, মুসলিম পুরুষরা অ-মুসলিম মহিলাদের বিয়ে করতে পারেন, কিন্তু কোনও মুসলিম মহিলা একজন অ-মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করতে পারেন না। সেই আইনের ফলে সমস্যায় পড়েন কিরণরা। এতদিনে তাঁদের সমস্যা মিটল।

কিরণ জানিয়েছেন, ‘আমার আবু ধাবির ভিসা আছে। সেখানে আমার বিমা আছে। আমিরশাহীর একটি হাসপাতালে আমার স্ত্রীকে ভর্তি করি। কিন্তু আমি হিন্দু হওয়ায় সন্তানের জন্মের পর শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। এরপর আমি নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হই। চার মাস ধরে বিচার চলার পর আমার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সেই সময় অ্যামনেস্টিই একমাত্র ভরসা ছিল। ভারতীয় দূতাবাস আমাকে সাহায্য করে। কিন্তু আমার মেয়ের জন্মের পর কোনও পরিচয়পত্র না থাকায় অভিবাসন সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। শেষপর্যন্ত আমিরশাহীর বিচার বিভাগ আমার বিষয়টিকে ব্যতিক্রমী হিসেবে দেখেছে। আমাকে জানানো হয়, এই ধরনের ঘটনায় এরপর থেকে আবেদন জানাতে হবে। মুখ্য বিচারপতি সেই আবেদন মঞ্জুর করলে স্বাস্থ্য দফতরে জন্ম শংসাপত্রের আবেদন জানাতে হবে। সেই প্রক্রিয়া মেনেই আমি মেয়ের জন্ম শংসাপত্র পেলাম।’

কিরণের মেয়ের নাম অনামতা অ্যাকেলিন কিরণ। বিষু উৎসবের আগের দিন ১৪ এপ্রিল তাকে জন্ম শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম নিয়ম বদল করা হল বলে কিরণকে জানিয়েছে আমিরশাহী সরকার।