প্রসঙ্গত, কয়েকমাস ধরে ডিমেনশিয়ায় ভুগছিলেন স্বামী উইলফ রাসেল। ৯৩ বছরের উইলফ তাঁর ৯১ বছরের স্ত্রী ভেরাকেও চিনতে পারছিলেন না। সেই দুঃখে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান ভেরা উইলফও। ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত উইলফ যখন একটি কেয়ার হোমে রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, তখন তার থেকে ঠিক চার মিনিটের ব্যবধানে অপর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্ত্রী ভেরা। যদিও স্ত্রী তাঁর স্বামীর মৃত্যুর খবর জানতেন না। এই খবরটি সেখানকার স্থানীয় সংবদমাধ্যমকে দেন দম্পতির নাতনি স্টেফানি ওয়েলচ।
স্টেফানি জানিয়েছেন, তিনি তাঁর দিদিমার সঙ্গে দেখা করতে রবিবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে মৃত্যুর ঠিক আগেরমুহূর্তে তিনি বলেন, তাঁরা দুজন দম্পতি হিসেবে একেবারে নিখুঁত।
নাতনি জানিয়েছেন, দাদু মারা গিয়েছেন ৬টা বেজে ৫০ মিনিটে, দিদিমা ৬ টা বেজে ৫৪ মিনিটে।উইলফের সঙ্গে ভেরার দেখা সেই কৈশোরে। সেসময় উইলফের বয়স ছিল ১৮, ভেরা ১৬। তাঁদের দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। পাঁচটি নাতি নাতনি, তাঁদেরও সাতজন সন্তান রয়েছে। আবার নাতি নাতনিদেরও দুটি নাতি হয়ে গেছে। ভরা সংসার রেখে এবার এই বৃদ্ধ দম্পতি পাড়ি দিলেন মহাসিন্ধুর ওপারে চিরশান্তির খোঁজে, একে অপরের আশ্রয়ে।