লন্ডন: ভারতে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন ‘পলাতক’ নীরব মোদি। ব্রিটেনের হাইকোর্ট জানিয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর সুযোগ পাবেন তিনি।


এর আগে ব্রিটিশ আদালত নীরবকে ভারতে প্রত্যর্পণের অনুমতি দেয়। ব্রিটিশ সরকারও নীরবকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে অনুমোদন দেয়। এর বিরুদ্ধে আবেদন জানান নীরব। তাঁর আইনজীবীর দাবি, এই পলাতক হীরে ব্যবসায়ীর মানসিক স্বাস্থ্য ভাল নয়। ভারতে প্রত্যর্পণের পর কারাগারে রাখা হলে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। আজ ব্রিটেনের হাইকোর্টের বিচারপতি মার্টিন চেম্বারলিন জানিয়েছেন, ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর সুযোগ পাবেন নীরব।


এদিন ভার্চুয়ালি এই মামলার শুনানি হয়। নীরবের আইনজীবীরা দাবি করেন, তিনি অবসাদে ভুগছেন। তাঁর মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। এই কারণে তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা উচিত নয়। মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে আত্মহত্যার চেষ্টা রোখার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই বলেও দাবি করেন নীরবের আইনজীবীরা। 


বিচারপতি চেম্বারলিন বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আবেদনকারীর দাবি যুক্তিগ্রাহ্য কি না, সেটাই আমার কাছে বিবেচ্য। আমার রায় হল, আবেদন জানানোর অনুমতি দিচ্ছি।’ 


ইউরোপিয়ান কনভেনশন অফ হিউম্যান রাইটসের ৩ ও ৪ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করে নীরবকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি চেম্বারলিন। এই ধারায় জীবন, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। ব্রিটেনের ফৌজদারি আইন ২০০৩-এর ৯১ নম্বর ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা বিচার করে আর্জি জানানোর সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আজ সে কথা উল্লেখ করেছেন বিচারপতি চেম্বারলিন। 


বিচারপতি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এর আগে বিচারক নীরব মোদিকে ভারতে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিয়েছিলেন, তিনি ভুল করেছিলেন কি না, তার দিকে নজর দেওয়া উচিত। অবসাদ, আত্মহত্যার চেষ্টার আশঙ্কা, আর্থার রোড জেলে আত্মহত্যার চেষ্টা রোখার উপযুক্ত ব্যবস্থার অভাবের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত ছিল।’