লন্ডন: করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সারা বিশ্বেই উদ্বেগের ছড়িয়েছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইতিমধ্যেই বলেছেন যে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকেও সংক্রামক হতে পারে ওমিক্রন। এরইমধ্যে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা, আগামী জানুয়ারিতেই সে দেশে বড়সড় আঘাত হানতে পারে ওমিক্রন। জানুয়ারিতে বড় আকারে সংক্রমণের ঢেউ দেখা যেতে পারে। এরফলে আগামী পাঁচ মাসে ইংল্যান্ডে ২৫ হাজার থেকে ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটেন সরকারের সংক্রমণ আটকাতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বিধি জারি করার প্রয়োজন হতে পারে।
লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনে শনিবার একটি মডেলিং প্রকাশিত হয়েছে। ওই মডেলিং অনুয়ারে, প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা না নেওয়া হলে জানুয়ারিতে বড়সড় সংক্রমণের ঢেউ দেখা দিতে পারে দেশে এবং তা ২৫ হাজার থেকে ৭৫ মানুষের প্রাণহানির কারণ হয়ে উঠতে পারে। সংবাদসংস্থার রিপোর্টে এ কথা জানা গেছে। কোভিড ১৯ জনিত হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু এড়াতে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা শনিবার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
নয়া গবেষণায় কী সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে?
সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির ক্ষেত্রে এই গবেষণা অনুসারে, আগামী এপ্রিলের শেষের মধ্যে ভাইরাস আক্রান্ত প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। দৈনিক হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা এর আগে চলতি বছরের গত জানুয়ারির সর্বাধিক সংখ্যার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে। ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেন এই বিজ্ঞানীরা। তাঁদের এই গবেষণা অবশ্য সমস্তরে পর্যালোচনা হয়নি। তবে গবেষণায় বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সুরক্ষা করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট কতটা এড়াতে পারছে এবং কার্যকরী বুস্টার ডোজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা শক্তিশালী করতে পারবে, তার ওপর আক্রান্তের সংখ্যা নির্ভর করবে। এই দুটি বিষয়ই এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
এরইমধ্যে ব্রিটিনের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওমিক্রন ডেল্টা স্ট্রেনের তুলনায় দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে এবং কয়েকদিনের মধ্যেই তা ব্রিটেনে প্রভাবশালী ভ্যারিয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে। ওমিক্রনের এই বিপদের আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটেন সরকার ছয় মাস আগে তুলে নেওয়া বিধিনিষেধ ফের চালু করেছে।