ওয়াশিংটন : শক্তিশালী টর্নেডোর (Tornado Hits US) দাপটে কার্যত তছনছ হলে গেল আমেরিকার দক্ষিণ-পূর্ব অংশ। কেন্টাকি, আরকানসাস, ইলিনয়, মিসৌরি এবং টেনেসি, মূলত এই পাঁচ প্রদেশেই তাণ্ডব চালিয়েছে টর্নেডো। এর মধ্যে শুধু কেন্টাকিতেই কমপক্ষে ৫০ জন মারা গিয়েছেন বলে খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 


সংবাদমাধ্যমে কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বিশির বলেন, ‘‘আমার ধারণা, কেন্টাকিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যাবে। ৭০ থেকে ১০০-র ঘরে গিয়ে ঠেকতে পারে।’’ কেন্টাকির ইতিহাসে এর আগে এমন ভয়ঙ্কর টর্নেডো আছড়ে পড়ার নজির নেই বলে দাবি করেন তিনি। ১৫টি কাউন্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান অ্যান্ডি। এর মধ্যে মেফিল্ডই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত (Tornado Damages) হয়েছে বলে খবর। 


শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত পাঁচটি প্রদেশে সবমিলিয়ে প্রায় ২৪ দফায় টর্নেডো তাণ্ডব চালিয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া)। কেন্টাকির পাশাপাশি, আরকানসাস এবং ইলিনয় থেকেও প্রাণহানির খবর মিলেছে। তবে সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। 


ইলিনয়েও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে অনলাইন বিপণনী সংস্থা অ্যামাজনের একটি গুদামে প্রায় ১০০ জন কর্মী ছিলেন। টর্নেডোর আঘাতে গুদামটি ভেঙে পড়েছে। সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনেকে আটকে রয়েছেন বলে খবর। আগে থেকে সতর্কতা জারি হওয়া সত্ত্বেও এত জন কেন গুদামে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে যদিও প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে খবর, বড়দিনের আগে কাজের চাপ থাকাতেই গভীর রাত পর্যন্ত কাজ চলছিল। 


অন্য দিকে, টর্নেডোর তাণ্ডবে কেন্টাকির ম্যাডিসনভিলে শনিবার সকালে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে যায়। টেনেসিতে একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে এখনই দুর্যোগ কাটার কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছে না আমেরিকার আবহাওয়া দফতর। শনিবার বিকেল থেকে একাধিক প্রদেশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ওহায়ো এবং টেনেসিতে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।