রাজর্ষি দত্তগুপ্ত, পোল্যান্ড : একমাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের (Russia Ukraine ) যুদ্ধ। রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান, প্রায় ৪০ লক্ষ ইউক্রেনীয় নাগরিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি-সহ বিভিন্ন দেশে। সেই শরণার্থীদের দুর্দশা চোখে দেখা যায় না। ভিটে মাটি হারিয়ে অনিশ্চয়তা ঘিরে ধরেছে তাঁদের। কবে ফিরবেন ঘরে জানেনই না। পোল্যান্ডের ওয়ারশে থাকা প্রায় ২০০ বাঙালি দাঁড়ালেন ইউক্রেন যুদ্ধের শরণার্থীদের পাশে। সেই ছবিই উঠে এসেছে এবিপি আনন্দ-র ক্যামেরায়।
এই মুহূর্তে রাজধানী ওয়ারশ-তে ৩টি শরণার্থী শিবির চলছে তোরওয়ার স্টেডিয়াম, পাতাক এক্সপো সেন্টার, এবং মডলিনস্কা বিমানবন্দরের কাছে রাখা হয়েছে কয়েক লক্ষ শরণার্থীকে । যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন পোল্যান্ডে থাকা এ বঙ্গের মানুষরা। থেকে যাঁরা পোল্যান্ডে এসেছেন, তাঁদের দোভাষি হিসেবে কেউ কাউ কাজ করছেন। কেউ আবার আয়ের বিকল্প পথের সন্ধান দিয়ে সাহায্য করছেন শরণার্থীদের। আবার কেউ নিজের বাড়িই ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের থাকার জন্য। শরণার্থীদের সাহায্যে এগিয়ে আসা বাঙালিদের সঙ্গে কথা বলেন আমাদের প্রতিনিধি। তাঁরা জানান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করে তাঁরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতেন। এভাবেই ইউক্রেনের দুর্দিনে পাশে দাঁড়াচ্ছেন প্রবাসী বাঙালিরা।
আজ ফের তুরস্কের ইস্তানবুলে আলোচনায় বসছেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। এর আগের সবকটি আলোচনায় যুদ্ধ বিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে পারেনি দু’দেশ। এরইমধ্যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডন জানিয়েছেন, ভ্লাডিমির পুতিনকে পদ থেকে সরানোর ডাক দিয়ে তিনি কোনও ভুল করেননি। এর জন্য তিনি ক্ষমাও চাইবেন না। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি জানান, তাঁর নৈতিক ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ওই মন্তব্য। তা আমেরিকার নতুন নীতি নয়।
ক্ষতির খতিয়ান
রাশিয়ার হামলায় এখনও অবধি সেদেশের ১৪৩ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত ২১৬। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও অবধি জন্মভূমি ছেড়ে, অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, প্রায় ৪০ লক্ষ সাধারণ ইউক্রেনবাসী।