রাষ্ট্রপুঞ্জ: ভারত ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবসান ঘটানোয় পাকিস্তান রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান আন্তোনিও গুয়েত্রেজকে তাঁর ‘যথাযথ ভূমিকা’ পালন করার যে আবেদন করেছে, তা কার্যত প্রত্যাখ্যান করলেন তিনি। গুয়েত্রেজ এ প্রসঙ্গে ভারত, পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত ১৯৭২-এর দ্বিপাক্ষিক সিমলা চুক্তির উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। ওই চুক্তিতে কাশ্মীর প্রশ্নে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের জায়গাই নেই।
ডুজারিক বলেছেন, সেক্রেটারি জেনারেল জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির ওপর উদ্বেগের সঙ্গে নজর রাখছেন এবং সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আবেদন করেছেন। ভারত, পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে ১৯৭২ এর সিমলা চুক্তিকেও তিনি স্মরণ করেছেন যাতে বলা আছে, জম্মু ও কাশ্মীরের চূড়ান্ত মর্যাদা রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ মেনে শান্তিপূর্ণ রাস্তায় ঠিক করতে হবে। কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক ইস্যু, যাতে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার অবকাশই নেই, গুয়েত্রেজ সিমলা চুক্তির এই দিকের প্রতি জোর দিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে পাক প্রতিনিধি মালিহা লোধির তাঁর হস্তক্ষেপ চেয়ে ওকালতির পর। গতকাল মালিহা গুয়েত্রেজের প্রতিনিধি মারিয়া লুইজা রিবেইরো ভিয়োত্তির সঙ্গে দেখা করে দাবি করেন, ভারত জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করার পর সেক্রেটারি জেনারেল তাঁর ন্যয্য ভূমিকা পালন করুন। মালিহা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের আগস্ট মাসের নির্ধারিত প্রেসিডেন্ট জোয়ান্না রননেকার সঙ্গেও দেখা করেন। পরে জোয়ান্নাকে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রপুঞ্জকে লেখা চিঠি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ‘নো কমেন্টস’ বলে এড়িয়ে যান।
সেক্রেটারি জেনারেল কাশ্মীর ইস্যুকে নিরাপত্তা পরিষদে তুলতে পারেন কিনা, জানতে চাওয়া হলে দুজারিক বলেন, আমি এমন কোনও পরিকল্পনার কথা জানি না। পাশাপাশি পাকিস্তানের অনুরোধেই কুরেশির লেখা চিঠিটি নিরাপত্তা পরিষদে বিলি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সেক্রেটারি জেনারেল একজন বিশেষ দূতের মাধ্যমে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নজরে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন কিনা, প্রশ্ন করা হলে দুজারিক বলেন, সেক্রেটারি জেনারেল পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছেন। তবে বিশেষ দূতের ব্যাপারে বলার বা ইঙ্গিত দেওয়ার কিছু নেই।
গুয়েত্রেজ সব পক্ষকেই ‘এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন’ যা জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে পারে। পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার রাস্তায় হেঁটে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার প্রেক্ষাপটেই এই বক্তব্য গুয়েত্রেজের।
বেজিংয়ের খবর, চিনও পাক বিদেশমন্ত্রীকে নিরাশ করল। পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেশি কাশ্মীর ইস্যুতে বন্ধু চিনকে পাশে পাওয়ার চেষ্টায় তড়িঘড়ি বেজিংয়ের বিমান ধরেন। কিন্তু চিন তাঁকে বলেছে, তারা ভারত, পাকিস্তান-উভয়কেই বন্ধু প্রতিবেশী বলে মনে করে, এটাই চায় যে, সিমলা চুক্তি ও রাষ্ট্রপুঞ্জের চুক্তির আওতায় তারা কাশ্মীর সমস্যা মিটিয়ে নেবে। কুরেশি শুক্রবার সকালে বেজিং পৌঁছে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক করেন। চিনা বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে কুরেশি বলেছেন, চিন কাশ্মীর প্রশ্নে ন্যয়ের পক্ষে দাঁড়াবে বলে তাঁর বিশ্বাস। তিনি কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়ে পাকিস্তানের পদক্ষেপের ব্যাখ্যাও দেন বৈঠকে। সম্ভবত, তিব্বত ও তাইওয়ান ইস্যুর প্রতি ইঙ্গিত করে কুরেশি বৈঠকে আরও বলেন, চিনের মৌলিক স্বার্থের ইস্যুতে চিনের সঠিক অবস্থানকে জোরালো সমর্থন করবে পাকিস্তান। ওয়াং ই বলেছেন, কাশ্মীরে সর্বশেষ উত্তেজনা মাথাচাড়া দেওযা নিযে গভীর উদ্বেগ আছে বেজিংযের।'
কাশ্মীর: পাকিস্তানকে ফেরাল রাষ্ট্রপুঞ্জ, চিন
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
09 Aug 2019 09:05 PM (IST)
ডুজারিক বলেছেন, সেক্রেটারি জেনারেল জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির ওপর উদ্বেগের সঙ্গে নজর রাখছেন এবং সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আবেদন করেছেন। ভারত, পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে ১৯৭২ এর সিমলা চুক্তিকেও তিনি স্মরণ করেছেন যাতে বলা আছে, জম্মু ও কাশ্মীরের চূড়ান্ত মর্যাদা রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ মেনে শান্তিপূর্ণ রাস্তায় ঠিক করতে হবে। কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক ইস্যু, যাতে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার অবকাশই নেই, গুয়েত্রেজ সিমলা চুক্তির এই দিকের প্রতি জোর দিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে পাক প্রতিনিধি মালিহা লোধির তাঁর হস্তক্ষেপ চেয়ে ওকালতির পর।
NEXT
PREV
আন্তর্জাতিক (world) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -