নয়াদিল্লি: ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে যে স্বীকৃতি দিয়েছে তা মানল না রাষ্ট্রসঙ্ঘ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫ ইউরোপীয় সদস্য দেশ বৈঠকের শেষে এক বিবৃতিতে বলেছে, ইজরায়েলি ও প্যালেস্তিনীয়দের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই জেরুজালেমের অবস্থান ঠিক করতে হবে।


আমেরিকা জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবারে এ ব্যাপারে বৈঠক ডাকে। বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ ব্যাপারে পরিষ্কার ও সংঘবদ্ধ অবস্থান রয়েছে। জেরুজালেম সমস্যা প্যালেস্তাইন ও ইজরায়েলের, জেরুজালেমকে দুদেশের রাজধানী হিসেবেই ব্যবহার করা যেতে পারে। যতক্ষণ না তা হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জেরুজালেমের ওপর নির্দিষ্ট কোনও দেশের দখলদারি বরদাস্ত করবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সিদ্ধান্তই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হয়েছে।

ফলে এই ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গোটা বিশ্বেই কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে অবশ্য ওয়াশিংটনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন, বলেছেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই অবস্থান ইজরায়েলের প্রতি তাদের বিতৃষ্ণার পরিচয়বাহী।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের শুরুতে মধ্য প্রাচ্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ দূত নিকোলাই ম্লাজেনভ জেরুজালেম থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, মার্কিন ঘোষণার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়তে পারে। কোনওরকম উসকানি দেওয়া থেকে বিরত থেকে সব পক্ষের এখনই আলোচনার টেবিলে বসা উচিত। ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন- উভয়ের কাছেই জেরুজালেম তাদের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু, সংস্কৃতি। এই অবস্থান আগেও ছিল, রয়েছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে। একমাত্র আলোচনা ছাড়া এই সমস্যা সমাধানের কোনও উপায় নেই।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণায় প্যালেস্তিনীয়দের মধ্যে প্রবল ক্রোধ সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।