জেনিভা: যে রোহিঙ্গা শিশুরা মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তারা পৃথিবীতেই নরকদর্শন করছে বলে মন্তব্য করল রাষ্ট্রপুঞ্জের শিশু বিষয়ক সংগঠন ইউনিসেফ। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রায় ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫৮ শতাংশই শিশু। প্রতি পাঁচটি শিশুর একটি অপুষ্টির শিকার। তারা কক্স বাজার সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় যে আশ্রয় শিবিরগুলিতে আছে, সেখানে অত্যধিক ভীড়, কাদা ও নোংরা। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগের আশঙ্কা যথেষ্ট।

সোমবার জেনিভায় রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংগ্রহের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। তার আগেই রোহিঙ্গা শিশুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের অবস্থার বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করা সাইমন ইনগ্রাম বলেছেন, ‘এই শিশুরা নিজেদের সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত, বিচ্ছিন্ন মনে করছে। তারা সাহায্য পাওয়ার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। তাই কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয় যে তারা পৃথিবীতেই নরকদর্শন করছে।’

ইনগ্রাম আরও বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিচ্ছন্ন জল, খাবার, নিকাশী ব্যবস্থা, নিশ্চিত আশ্রয় ও কলেরার টীকা দরকার। তাছাড়া মানব পাচারকারীরাও এই শিশুদের শোষণ করতে পারে। সবরকম আশঙ্কাই আছে। তাই তাদের সাহায্য করতে হবে।

ইউনিসেফের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্টনি লেক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বেশিরভাগ রোহিঙ্গা শিশুই মায়ানমারে যে নির্যাতন দেখেছে, কোনও শিশুকেই যেন তার সাক্ষী না থাকতে হয়।’