মার্কিন বিদেশ দফতর সূত্রে খবর, কিছুদিনের মধ্যেই ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে। যে দেশগুলি ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করবে না, তারাও নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা সব দেশগুলির রাজধানীকে সতর্ক করে দিয়েছেন, এবার আর নিষেধাজ্ঞার আওতা থেকে কোনও দেশকে ছাড় দেওয়া হবে না। আগামী দিনে তেহরানের উপর চাপ বাড়াবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইরান থেকে যে দেশগুলি তেল আমদানি করে, তার মধ্যে ভারত ও চিন অন্যতম। সেই কারণে নয়াদিল্লি ও বেজিংকে ইরান থেকে তেল আমদানি কমাতে বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপের দেশগুলিকেও একই হুঁশিয়ারি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
গত মাসেই ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে হওয়া পরমাণু চুক্তি বাতিল করে দিয়েছেন। বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জার্মানি ও ইরানের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছিল। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ইরান ভবিষ্যতে পরমাণু প্রকল্প বন্ধ করে দেবে। এরপর ইরান ১,৩৩৯টি পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করারও উদ্যোগ নিয়েছে তেহরান। এরই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প।