ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সন্ত্রাস দমনের নামে বছরের বছর অর্থ নিয়ে ঠকিয়েছে পাকিস্তান। ‘জঙ্গি দমনের নামে ১৫ বছর ধরে পাকিস্তান আমাদের থেকে ৩৩০০ কোটি ডলার নিয়ে গিয়েছে। অথচ বিনিময়ে ঝুড়ি-ঝুড়ি মিথ্যে বলা ছাড়া কিছুই করেনি।’ ট্রাম্পের এই তোপের পরই পাকিস্তানকে ২৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা আপাতত আটকে দিল আমেরিকা। হোয়াইট হাউস সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সে দেশে জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়, তার ওপরই নির্ভর করবে এই আর্থিক সাহায্যের ভবিষ্যত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ২০১৬ আর্থিক বর্ষের বিদেশী সামরিক সহায়তা খাতে ২৫৫ মিলিয়ন ডলার এবার পাকিস্তানের জন্য ব্যয়ের কোনও পরিকল্পনা নেই। প্রেসিডেন্ট সাফ বলেছেন যে, পাকিস্তান তাদের দেশে সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করে আমেরিকা। দক্ষিণ এশিয়া কৌশলের সমর্থনে পাকিস্তানের গৃহীত ব্যবস্থাই ভবিষ্যতের নিরাপত্তা সহায়তা সহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিশা নির্ধারন করবে।
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সহযোগিতার মাত্রা খতিয়ে দেখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব নিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘আর নয়। ওরা কি আমাদের বোকা ভাবে? আফগানিস্তানে একার চেষ্টায় জঙ্গিদের মারছি, অথচ এদেরই স্বর্গরাজ্য পাকিস্তানে। এটা চলতে পারে না।’
ট্রাম্পের ওই বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়, জঙ্গি-দমনে প্রকৃত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আগামী দিনে নিরাপত্তা সহায়তা খাতে আমেরিকার থেকে একটি ডলারও পাবে না পাকিস্তান!
পাকিস্তান সম্পর্কে ট্রাম্পের কঠোর মনোভাবকে সমর্থন করেছেন বহু মার্কিন কংগ্রেস সদস্যই। ওকলাহোমের রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য মার্কওয়েন মুলিন বলেছেন, পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ সম্পর্কে প্রেসিডেন্টের অবস্থানকে তিনি সমর্থন করেন।
কেন্টাকির সেনেটর রান্ড পল বলেছেন, পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য বন্ধের কথা তিনি অনেক আগে থেকেই বলছিলেন।