ঢাকা: মার্কিন ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় বাংলাদেশের রাজধানীর মোহামেদপুর থেকে সন্ত্রাস দমন বাহিনীর হাতে রবিবার গভীর রাতে গ্রেফতার আবু সিদ্দিকি সোহেল ওরফে সাকিব নামে ৩৪ বছরের সন্দেহভাজন। ২০১৫-য় সাকিব সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-এ যোগ দেয়। ওদের গোয়েন্দা শাখায় ছিল সে।
২০১৩ থেকে ২০১৬-র মধ্যে বাংলাদেশে পরপর একাধিক মুক্তমনা ব্লগার ও মানবাধিকার কর্মীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আনসারুল্লাহ বাহিনী। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ম্যাশেটধারী দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে খুন করেছে প্রগতিশীল ব্লগার, মানবাধিকার কর্মীদের।
গতকাল সাকিবকে ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তোলা হলে তিন ঘন্টার বেশি সে স্বীকারোক্তিমূলক বিবৃতি দেয়। আদালত সূত্রের খবর, ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যার অভিযানে মোট ৮ জঙ্গি সামিল ছিল বলে জানিয়েছে সাকিব। নিজে এই হত্যাকাণ্ডে যোগ দেয়নি বলে দাবি করলেও আনসারুল্লাহ বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ স্বীকার করেছে সে। অভিজিৎ রায় হত্যায় ৬ সন্দেহভাজন বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে।
ধর্মীয় মৌলবাদ, কট্টরপন্থার কঠোর সমালোচক অভিজিৎ রায় ২০১৫-র ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বইমেলা থেকে সস্ত্রীক বেরিয়ে আসতেই তাঁদের ওপর চড়াও হয় ম্যাশেটধারী হামলাকারীরা। খুন হয়ে যান অভিজিত্, গুরুতর জখম হন স্ত্রী।
এ ব্যাপারে এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, সাকিব নাকি আগে বলেছিল, অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়েছিল মেজর জিয়া নামে সামরিক বাহিনী ছেড়ে আসা এক সেনা অফিসারের নির্দেশে। বরখাস্ত হওয়া মেজর সঈদ জিয়া-উল-হকই নাকি বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ লেখক, ব্লগারদের হত্যার মূল মস্তিষ্ক, এমনটাই দাবি পুলিশ কর্তাদের।
আল কায়েদার সঙ্গে সংযোগ থাকা আনসারুল্লাহ বাহিনী ২০১৫-য় নিষিদ্ধ হয়।