ওয়াশিংটন : সালটা ২০১৯। টেক্সাস ভরেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাটআউটে। হিউস্টনে হাউডি মোদি শীর্ষক সভা ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। সেখানে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার অনাবাসী ভারতীয়, ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। মোদি-মোদি স্লোগানের মধ্যেই স্টেডে উঠে মোদি স্লোগান তুলেছিলেন 'অব কি বার ট্রাম্প সরকার'। ২০২০ তে প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পকে ফিরিয়ে আনার জন্য খোলাখুলি প্রচার করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ভোটকে টার্গিট করে ট্রাম্পের প্রচার-ভিডিওতে ছিল মোদি ও ট্রাম্পের ভিডিও ক্লিপিংস। এছাড়াও ট্রাম্প ও মোদি একে এপরকে প্রশংসা করার কোনও সুযোগ ছাড়েননি। এবারও নির্বাচনর ঠিক ৪ দিন আগে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে 'বন্ধু মোদির' সাহচর্যে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক দৃঢ় করার বার্তা দেন ট্রাম্প।  







মঙ্গলবার থেকেই ভোট গণনা শুরু হয়েছে মার্কিন মুলুকে। আরও একবার হোয়াইট হাউসের পথে এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৭৭টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে গিয়েছেন রিপাব্লিকান প্রার্থী। অতএব  মার্কিন মসনদে ট্রাম্পের বসে পড়া প্রায় নিশ্চিত।  অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ২২৬টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন কমলা হ্যারিস। যে ৭টি সুইং স্টেটের উপর নির্বাচনের ফল অনেকটাই নির্ভর করে, তার মধ্যে ৬টিতেই জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। টেক্সাস, ফ্লোরিডা, পেনসিলভেনিয়া, ওহিও, নর্থ ও সাউথ ক্যারোলিনায় জয় পেয়েছেন  রিপাবলিকানরা। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে এবার নতুন মাত্রা যুক্ত হতে পারে বলে মনে করছেন আমেরিকান রাজনীতিকরা।  



রিপাবলিকান নেতা রিচার্ড ম্যাককরমিক ভোটের ফলের ট্রেন্ড দেখেই সংবাদ সংস্থা এএনআই কে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের জয় একপ্রকার নিশ্চিত । আর ট্রাম্প মসনদে বসলে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। 
তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে এলে, ভারত ও আমেরিকা একযোগে  বিশ্ব অর্থনীতির বিকাশ ঘটাতে পারবেন। রিচার্ড ম্যাককরমিক বলেন, ভারতের  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ট্রাম্প উভয়ের মধ্যে ভাল বন্ধুত্ব রয়েছে। নয়া দিল্লি এবং ওয়াশিংটন উভয়েরই একে অপরের প্রয়োজন।   এর আগেও নরেন্দ্র মোদির প্রতি বারবার আস্থা রাখতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।