ওয়াশিংটন : মার্কিন মুলুকে টানটান লড়াই। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ভোট গণনাও শুরু হয়ে গিয়েছে। হাইভোল্টেড ফাইটে একটা ট্রেন্ড একটু একটু করে পরিষ্কার হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এগনো গণনা অনুসারে ডোনাল্ড ট্রাম্পই এগিয়ে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ১৯৫ টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে এগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প, কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ১১৭টি ইলেক্টোরাল ভোট । প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান প্রার্থী এখনও পর্যন্ত এগিয়ে ৭ শতাংশ ভোটে । যদিও এই ভোটের ফলে এসেছে নানা চমক। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ডেলাওয়্যারে জয়ী হয়েছেন কমলা হ্যারিস। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন টেক্সাস, ওহাইও, লুইসিয়ানা, নর্থ ডাকোটা, সাউথ ডাকোটা, ওয়াইমিং এবং কানসাসে । ডেমোক্রাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ভেরমন্টে জিতে গিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের গদিতে কে বসেন, তাই দেখার।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্তিম পর্ব শুরু হয়। শেষ হয়েছে বুধবার সকালে। চলছে গণনা। মার্কিন মুলুকে ৫০টি প্রদেশের ভোটারের সংখ্যার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে । তাই কয়েকটি আসন ফলাফল পরিষ্কার হলেও, কয়েকটি কেন্দ্রের ফল সামনে আসতে সময় লাগবে।
প্রাথমিক পর্বে কমলাকে অনেকটা পেছনে ফেললেও আমেরিকার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় নিয়ে থাকে ‘সুইং স্টেট’গুলি। সাত প্রদেশের ফলাফল অনেক ক্ষেত্রেই ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে। কেন গুরুত্বপূর্ণ এই ‘সুইং স্টেট’গুলি? আমেরিকান রাজনীতির ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, এই স্টেটগুলি নির্দিষ্ট ভাবে প্রতিবার কোনও একদলকে পছন্দ করে না। তাঁদের ভোট কখনও যায় ডেমোক্র্যাটদের ঝুলিতে, কখনও রিপাবলিকানদের কাছে। তাই সেক্ষেত্রে এই সুইং স্টেটগুলির দিকে নজর হয়েছে দুই দলেরই।
এবার মার্কিন নির্বাচনের আগে হওয়া একটি সমীক্ষায় উঠে আসে এবার ভোটে বড় ইস্যু হতে চলেছে গণতন্ত্রের সুরক্ষা। এছাড়াও মার্কিন অর্থনীতির কথাও ভাবছেন ভোটাররা । প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করছেন গণতন্ত্র অসুরক্ষিত। এর পাশাপাশি মহিলা ভোটারদের মধ্যে গর্ভপাতের মতো ইস্যুগুলি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এছাড়া অভিবাসন সমস্যাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই নির্বাচনে। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৭৩ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন সে-দেশে গণতন্ত্র হুমকির মধ্যে। ২৫ শতাংশ ভোটার বিশ্বাস করেন, গণতন্ত্র নিরাপদই আছে।
আরও পড়ুন, পুজো কাটতেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, সুরক্ষিত থাকতে কী করতে হবে ? জানালেন চিকিৎসক