ওয়াশিংটন: আইএসআইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড়সড় সাফল্য আমেরিকার। সিরিয়ায় মার্কিন অভিযানের মুখে ‘আত্মঘাতী’ আইএস প্রধান। বিস্ফোরণে আইএস প্রধানের মৃত্যুর দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্টের।মার্কিন অভিযানের মুখে সপরিবারে ‘আত্মঘাতী’ আইএস প্রধান। বাগদাদির পরে আইএস প্রধান হয় আবু ইব্রাহিম আল-হাসিমি আল-কুরেশি। মার্কিন সেনার হাতে ধরা পড়ার ভয়ে বাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটায় কুরেশি। আইএস প্রধানের মৃত্যু নিয়ে দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্টের।


মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী এক অপারেশনে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাসিমি আল কুরেশির মৃত্যু হল। মার্কিন প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, জঙ্গি আল কুরেশি নিজেকে সপরিবারে বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে। মার্কিন বাহিনীর এই অপারেশন চলাকালে ছয় শিশু ও চার মহিলা সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, তাদের অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত সবাই নিরাপদে ফিরে এসেছে। 


মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্যুইট করে  এ কথা জানিয়েছেন। এই পুরো অভিযানই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা টিম লাইভ দেখেছেন বলে জানা গেছে।


বাইডেন তাঁর ট্যুইটে বলেছেন, কাল রাতে আমার নির্দেশে মার্কিন সেনা বাহিনী জঙ্গি দমন অভিযান চালায় এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে বীরত্বের জন্য ধন্যবাদ। আমরা আইএসআইএস নেতা আবু ইব্রাহিম আল কুরেশিকে যুদ্ধের ময়দান থেকে হঠিয়ে দিয়েছি। 


বাইডেন জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি খুব শীঘ্রই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। পেন্টাগনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মিশন একেবারেই মসৃণ ও সফল ছিল। আমেরিকার পক্ষে কেউ হতাহত হননি। 


হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আল হাসিমি কুরেশি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সপরিবারে আত্মঘাতী হয়েছে। আমেরিকার এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল ২৪ স্পেশ্যাল অপারেশন কমান্ডো।জেট, ড্রোন ও হেলিকপ্টার গানশিপ নিয়ে এই অভিযান চালানো হয়। বাইডেন প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, অভিযানের শুরুতে যে জঙ্গিকে নিশানা করা হয়েছিল, সে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে সে ও তার পরিবারের সদস্যরা সবাই মারা যায়। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, পশ্চিম সিরিয়ায় এই অভিযান চালানো হয়।