নয়াদিল্লি: ৭ থেকে ২৭ অক্টোবর, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের (Israel Hamas War) কুড়ি দিন পার। এখনও পর্যন্ত সংঘর্ষ থামার (Israel Gaza Violence) কোথাও কোনও লক্ষণ নেই। তার উপর নতুন সংযোজন, সিরিয়ার পূর্ব দিকে দুটি এলাকায় বোমাবর্ষণ শুরু করেছে মার্কিন সেনা (US Bombards Syria)। যদিও আমেরিকার দাবি, এই হামলার সঙ্গে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই। দুটি পুরোপুরি আলাদা। গত ক'দিনের ঘটনাপ্রবাহ অবশ্য সে কথা বলছে না বলে ধারণা আন্তর্জাতিক কূটনীতির কারবারিদের। তবে কি ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ কেন্দ্র করে আরও বড় জট তৈরি হতে চলেছে?


বিশদ...
আমেরিকার বক্তব্য, সিরিয়ায় ইরানপন্থী এলাকাতেই বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট করে বললে, পেন্টাগনের দাবি ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের সঙ্গে সিরিয়ার ওই দুটি এলাকার নিবিড় যোগাযোগ ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চপদস্থ মার্কিন সেনা আধিকারিক জানান, ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস নিয়ন্ত্রিত আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্রের গুদামে বোমা বর্ষণ করা হয়েছে। তবে এই হামলায় এখনও পর্যন্ত ইরানের কোনও নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন জানাচ্ছেন, গত সপ্তাহ থেকে ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গিবাহিনী ইরাক এবং সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে নাগাড়ে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তারই জবাবে শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ 'প্রিসিশন সেলফ ডিফেন্স স্ট্রাইক' করে আমেরিকা। তাঁর বক্তব্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, আমেরিকা এই ধরনের কোনও হামলা সহ্য করবে না। স্বার্থরক্ষায় ও আত্মরক্ষায় পদক্ষেপ করবে। 


অভিযান জারি আইডিএফের...
এদিকে আইডিএফের তরফে শুক্রবার জানানো হয়, ফাইটার জেট এবং ইউএভি-এর সাহায্য়ে সেন্ট্রাল গাজা স্ট্রিপে 'টার্গেটেড রেড' জারি রয়েছে। হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীর দখলে থাকা 'টার্গেট'-এও হামলা চালিয়েছে আইডিএফের বিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী। যদিও সংঘর্ষবিরতির জন্য ইজরায়েলের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। শুক্রবার প্রকাশ হওয়া একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, খোদ ইজরায়েলের ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনই 'গ্রাউন্ড ইনভেশন'-এর পক্ষপাতী নন। শিউরে ওঠার মতো পরিস্থিতি গাজার। রাষ্ট্রপুঞ্জের যে সংগঠন প্যালেস্তিনীয়দের ত্রাণ এবং উদ্ধারের কাজ করে, তাদের হিসেব অনুযায়ী অন্তত ৬ লক্ষ ২৯ হাজার গৃহহীন মানুষ তাদের আশ্রয়ে রয়েছেন। সংগঠনের কর্মীদের বক্তব্য, আশ্রয় শিবিরের যা ক্ষমতা, এই মুহূর্তে তার থেকে তিনগুণ বেশি তাতে থাকছেন। একই সঙ্গে তাদেরও জ্বালানি প্রায় শেষের মুখে। ফলে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল, স্বাস্থ্যপরিষেবার মতো জরুরি পরিষবা কার্যত বন্ধ হওয়ার মুখে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার শাখার প্রধানের দাবি, তাদের সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও ছিটোফোঁটা ত্রাণ পৌঁছচ্ছে গাজায়। ইইউ নেতারাও ত্রাণ পৌঁছনোর জন্য সংঘর্ষবিরতির আর্জি জানিয়েছেন। সত্যিই কি এই আর্জিতে কাজ হবে? নাকি আরও জটিল হবে পরিস্থিতি?


 


আরও পড়ুন:রেকর্ড পদক প্রাপ্তি ভারতের, প্যারা এশিয়ান গেমসের ভারতীয় অ্য়াথলিটদের শুভেচ্ছা অনুরাগের