প্রসঙ্গত, সমুদ্রপথের দখল এবং হংকংয়ে ব্যবসায়িক দখল নেওয়া নিয়ে কিছুদিন ধরেই ঠান্ডা লড়াই চলছে চীন ও আমেরিকার। ক্রমশই তার পারদ চড়ছে।
১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ দক্ষিণ চীন সাগর মালবাহী জাহাজ চলাচল এবং পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বছরে এখান দিয়ে তিন ট্রিলিয়ন ডলারের পণ্য যাতায়াত করে। প্রতিবেশী দেশগুলির যথেষ্ট আপত্তি সত্ত্বেও এবং তাদের সামরিক দুর্বলতাকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে চীন এই সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশ নিজেদের কব্জায় রেখেছে বলে অভিযোগ। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ইউএসএস নিমিৎস এবং ইউএসএস রোনাল্ড রেগন যুদ্ধবিমান পরিবাহী জাহাজদুটি আমেরিকা জলে ভাসানোর পর পরই সামরিক মহড়া শুরু করে চীন আসলে এই বার্তাই দিতে চেয়েছে যে এই জলপথের তারাই মালিক।
তবে আমেরিকা যখন চিনকে দোষারোপ করেছে, তখন চিন সাফ জানিয়েছে যে তারা বেশ কিছুদিন আগেই ঘোষণা করে রেখেছিল যে জুলাই থেকে তারা মাসে সপ্তাহে পাঁচ দিন করে সমর মহড়া দেবে। সাম্প্রতির মহড়া ছিল তারই অঙ্গ। চিন এমনকী পারাসিল দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায়ও মহড়া দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এই দ্বীপ নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চিন এবং ভিয়েতনাম উভয়ই। ভিয়েতনাম তো বটেই, বেজিংয়ের আগ্রাসী মানসিকতার সমালোচনা করেছে মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্সের মতো দেশগুলিও।