ইসলামাবাদ: ভারত, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করছে সন্দেহে লস্কর-ই-তৈবা, জয়েশ-ই-মহম্মদ, হরকত উল মুজাহিদিনের মতো ২০টি জঙ্গি গোষ্ঠীর তালিকা ইসলামাবাদকে দিল ওয়াশিংটন।


পাক সংবাদপত্র ডন এর খবর, তালিকার সবার ওপরে আছে হক্কানি নেটওয়ার্ক। আমেরিকার দাবি, উত্তরপশ্চিম পাকিস্তানের ফেডেরালি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবাল এরিয়াস বা ফাটা-য় নিরাপদ ডেরা আছে ওদের। আফগানিস্তানে হামলা চালাতে ওই ঘাঁটি ব্যবহার করছে ওরা।

হরকত উল মুজাহিদিন পাকিস্তানে আশ্রিত জঙ্গি সংগঠন, প্রাথমিক ভাবে কাশ্মীরেই সক্রিয়। ওসামা বিন লাদেনের আল কায়দার সঙ্গে ওদের যোগ আছে বলে দাবি আমেরিকার। জয়েশ মূলত কাশ্মীরেই অপারেশন চালায়।

লস্করকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় ও বড় সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির অন্যতম বলে চিহ্নিত করেছে ওয়াশিংটন। আফগানিস্তানে ১৯৮৭ সালে হাফিজ সঈদ, আবদুল্লা আজম ও জফর ইকবালের তৈরি গোষ্ঠীটির সদর কার্যালয় পঞ্জাবের মুরিদকায়। এদেরও নজর কাশ্মীরেই। ২০০৮ এর মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলায় জড়িত লস্করকে পাকিস্তানের ভিতরেও কয়েকশো আগে থেকে ছক কষে নিশানা করে হত্যা ও হামলার জন্য দায়ী করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

রিপোর্টে প্রকাশ, একাধিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর মঞ্চ তেহরিক-ই-তালিবানের আগে ঘাঁটি ছিল ফাটায়, তবে বর্তমানে তারা ঘাঁটি সরিয়ে নিয়েছে আফগানিস্তানে। আমেরিকার মত, ওরা শরিয়া নিয়ে নিজেদের ব্যাখ্যা চাপিয়ে দিতে চায়, আফগানিস্তানে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিরুদ্ধে জোট গড়াও ওদের উদ্দেশ্য। পাকিস্তানের ভিতরেও বহু হামলা চালিয়েছে ওরা।

তালিকার বাকি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে আছে হরকত উল জিহাদি-ই-ইসলামি, জামাতুল আহরার, জামাত উদ দাওয়া আল-কুরান ও তারিক গিদার গোষ্ঠী।

২০১৪-র ১৬ ডিসেম্বর পেশোয়ারের সেনার পাবলিক স্কুলে গণহত্যা চালিয়ে ১৩২টি পড়ুয়াকে হত্যা সহ পাকিস্তানে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলাগুলির বেশ কয়েকটি ঘটিয়েছে তারিক গিদার।

সূত্রটি অবশ্য এ খবর ভুল বলে জানিয়েছে যে, মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ সফরে পাক কর্তাদের ৭৫ সন্ত্রাসবাদীর তালিকা দিয়েছেন।

টিলারসন গত সোমবার সেনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটিকে বলেন, সন্ত্রাসবাদীদের গতিবিধি সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হলে ওদের নিশানা করতে আগ্রহী পাকিস্তান। ওয়াশিংটন পাকিস্তানকে সেই সুযোগ দেওয়ার পক্ষপাতী। পাকিস্তানরে মার্কিন প্রতিনিধিরা যে তথ্য দিয়েছেন, তা স্রেফ কিছু লোকজনের নামের চেয়েও বেশি ক কিছু। আমেরিকার প্রত্যাশা, সন্ত্রাসবাদীদের নিশানা করায় সহায়ক হবে, পাকিস্তানের কাছ থেকে এমন তথ্যও পাওয়া যাবে।