স্টকহোম: বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে বহমান মহাকর্ষীয় তরঙ্গ আবিষ্কারের জন্য চলতি বছরের পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার জিতলেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী ব্যারি ব্যারিশ, কিপ থর্ন এবং রেইনার ওয়েইস।
প্রায় এক শতক আগে, এই তরঙ্গের উপস্থিতির অনুমান করেছিলে বিশ্ববন্দিত পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। কিন্তু, ২০১৫ সালের আগে, তার প্রমাণ মেলেনি। বিজ্ঞানীদের মতে, মহাকর্ষীয় তরঙ্গ হল সেই ঢেউ যা কসমস-এর প্রধান উপাদান সময় ও মহাকাশের মধ্যে অনবরত বয়ে চলেছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে ধাক্কা লাগার ফলে বা লক্ষত্রের কেন্দ্র ক্ষয়ে যেতে শুরু করলে যে অতিবেগুনি প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, তার মধ্য থেকেই তৈরি হয় মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। এদিন সুইডিশ রয়্যাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর তরফে জানানো হয়েছে, এই ত্রয়ীর আবিষ্কার সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, থর্ন ও ওয়েইস মিলে ক্যালিফর্নিয়া ইস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (ক্যালটেক)-তে একটি লেসার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারর্ভেটরি (লিগো) তৈরি করেন। ব্যারি ওই প্রকল্পে পরে যোগ দিয়ে তার কাজ সম্পন্ন করেন।
লিগোর মাধ্যমে প্রথম ১.৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের একটি মহাকর্ষীয় তরঙ্গের খোঁজ পান তিন বিজ্ঞানী। ২০১৫ সাল থেকে, আরও তিনবার এই তরঙ্গের হদিস মিলেছে। এর মধ্যে ২ বার মেলে লিগো-র মাধ্যমে।
আইনস্টাইন বলেছিলেন, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে আলোর গতিতে বয়ে যায় এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। যদিও তিনি মনে করেছিলেন, একে মাপা কখনই সম্ভব হবে না। কিন্তু, এই তিন বিজ্ঞানী সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন।