উল্লেখ্য, তাইওয়ানের নেতার সঙ্গে সরাসরি কথা বলে ট্রাম্প আমেরিকার কয়েক দশকের পুরানো ‘ওয়ান চায়না’ নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ওই নীতি একটা কূটনৈতিক সমঝোতা। বেজিংকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়ে চিন ও তাইওয়ান-উভয়ের সঙ্গেই আমেরিকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলাই ওই নীতির উদ্দেশ্য।
সেই ‘ওয়ান চায়না’ নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিতের পাশাপাশি দক্ষিণ চিন সাগর নিয়েও যে আমেরিকা বেজিংয়ের ওপর ভবিষ্যতে চাপ বাড়িয়ে যাবে, তা হ্যারিসের মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
চিন সম্পদে সম্বৃদ্ধ দক্ষিণ চিন সাগরের ওপর নিজের একাধিপত্যের দাবি জানিয়ে আসছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলির দাবিকে এক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে নারাজ বেজিং। কিন্তু আমেরিকা চিনের সার্বভোমত্বের দাবি গোড়া থেকেই নাকচ করে আসছে।এই অঞ্চলে জাহাজ চলাচলের যে অধিকার রয়েছে তা জোরের সঙ্গে জানাতে আমেরিকা দক্ষিণ চিন সাগরে নিয়মিত যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছে।
সিডনির একটি থিঙ্কট্যাঙ্কেকে মার্কিন অ্যাডমিরাল বলেছেন, এভাবে চিনের সবার অধিকারভুক্ত এলাকা একতরফাভাবে বন্ধ করে দেওয়া কোনওভাবেই বন্দোবস্ত করা হবে না।
হ্যারিস বলেছেন, যেখানে সহযোগিতার প্রয়োজন সেখানে সেজন্য প্রস্তুত আমেরিকা। কিন্তু যেখানে সংঘাত প্রয়োজন হবে সেখানে তাই করতে আমেরিকা প্রস্তুত।