ওয়াশিংটন : মার্কিন মুলুকে ইতিহাস। সাময়িকভাবে আমেরিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হলেন কমলা হ্যারিস। কোলনোস্কপির জন্য সোয়া এক ঘণ্টা অ্যানাস্থেশিয়া করতে হয় বাইডেনকে। নিয়মমাফিক সেই সময়ের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন কমলা। 


বাইডেন হাসপাতালে থাকার সময়, ওয়েস্ট উইংয়ে নিজের অফিস থেকেই কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। শুক্রবার ওয়াল্টার রিড মেডিক্যাল সেন্টারে যাওয়ার আগে কমলা হ্যারিস ও হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফের সঙ্গে কথা বলেন বাইডেন।


এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শেষবার শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছিলেন জো বাইডেন। সেই সময় চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে পূর্ণ মেয়াদ শেষ করার মত শারীরিক অবস্থা তাঁর আছে বলে জানানো হয়েছিল। শনিবারই ৭৯-তে পা দেন তিনি। তিনিই আমেরিকার সবথেকে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। কাজেই ২০১৯ সালে তিনি যখন হোয়াইট হাউসের জন্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন, সেই সময় থেকে তাঁর বয়সই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমেরিকা সফরে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং কমলা হ্যারিসকে স্বদেশী উপহারে ভরিয়ে দেন। কমলা হ্যারিসের ঠাকুরদা পিভি গোপালন ছিলেন সম্মানীয় সরকারি পদাধিকারী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করেছিলেন তিনি। কুটিরশিল্পীদের হাতে তৈরি কাঠের চোখ ধাঁধানো ফ্রেমে ভরা পিভি গোপালনের সুদৃশ্য ছবি উপহার দেন তিনি। উপহারের তালিকা অবশ্য এতেই শেষ নয়। এর পাশাপাশি তিনি তাঁকে দেন গুলাবি মিনাকারি দাবার সেট। যেগুলো কাশীতে খুব ভালো পাওয়া যায়। কাশীর হস্তশিল্পের ঐতিহ্য এবং নিদর্শন বহন করে।


উপহার দেওয়ার সৌজন্য বিনিময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেন হোয়াইট হাউসে। বৈঠকের শেষে ভারত আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক বিবৃতিও পেশ করা হয়। কমলা হ্যারিসকে 'প্রেরণার আধার' বা সোর্স অফ ইন্সপিরেশনে ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।