বেজিং: সদ্যপ্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ভারতের চিনা নীতি তৈরি করেছিলেন। এমনই মত চিনের বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা বিভিন্ন ঘটনার কথা উল্লেখ করে বাজপেয়ীর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। চায়না রিফর্ম ফোরামের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ডিরেক্টর মা জিয়ালি বলেছেন, ‘বাজপেয়ীর শাসনকালে ভারত-চিন সম্পর্কের অনেক উন্নতি হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে ভারত পোখরানে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করে চিন। সেই সময় সীমান্ত সমস্যা মেটানোর জন্য বিশেষ প্রতিনিধি দল গঠন করেন বাজপেয়ী। এর ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হয়। ২০০৩ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর চিন সফরের পর রাজনৈতিক, আর্থিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ভারত-চিন সম্পর্কের দ্রুত উন্নতি হয়।’


২০১৬ সালে ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা মেটানোর জন্য আলোচনায় বেজিংয়ের প্রতিনিধি দাই বিঙ্গুও বাজপেয়ীর স্মৃতিচারণায় লিখেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা মেটাতে চাইছিলেন বাজপেয়ী। ২০০৩ সালে চিনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওয়ের সঙ্গে নৈশভোজ বৈঠকে বাজপেয়ী বলেছিলেন, তিনি সীমান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য বিশেষ প্রতিনিধি দল গঠন করবেন। এই প্রতিনিধি দল আলাদাভাবে কাজ করবে। রাজনৈতিক স্তরে সমাধান খোঁজার জন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবে এই প্রতিনিধি দল। কিন্তু ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ হেরে যাওয়ায় সীমান্ত বিরোধ মেটানোর সুযোগ হারান বাজপেয়ী।’

দাই আরও জানিয়েছেন, ‘ভারত ও চিনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার নেতৃত্বে ২০ বার সীমান্ত বিরোধ মেটানোর লক্ষ্যে বৈঠক হয়েছে। প্রথম বৈঠক হয় বাজপেয়ীর আমলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল ও সেই সময় চিন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা দাইয়ের মধ্যে। ব্রজেশ জানিয়েছিলেন, ২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর এই বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান সূত্র খোঁজার উদ্যোগের গতি বাড়াতে চায় ভারত। আমার বিশ্বাস, তিনি মিথ্যা বলেননি। হয়তো দ্রুত সমাধান পাওয়া যেত। আশা করি এখন সমাধান সূত্র মিলবে।’