কারাকাস: চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কট। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক অচলাবস্থা। দক্ষিণ আমেরিকার সমাজতন্ত্রী রাষ্ট্র ভেনেজুয়েলা ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছ বিপন্নতার গভীরে। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রতি সাধারণ মানুষের ভরসা নেই। তাঁরা চান, দেশজুড়ে মন্দার দায় মাথায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করুন। কিন্তু মোটেই রাজি নন মাদুরো। উল্টে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন তিনি। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে দু’দিনের সেনা মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়া থেকে আমদানি করা যুদ্ধবিমান আকাশে চক্কর দিচ্ছে, তৈরি রাখা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। বেশ কয়েকটি দাঙ্গা দমনকারী স্কোয়াড রাস্তায় নেমে পড়েছে। কারণ হিসেবে প্রেসিডেন্ট বলছেন, আমেরিকা সহ অন্যান্য বিদেশি রাষ্ট্র থেকে আসা বিপদের মোকাবিলা করতে ভেনেজুয়েলা যে তৈরি, তা দেখাতেই এই মহড়া। কিন্তু বিরোধীরা মনে করছেন, দেশজুড়ে বাড়তে থাকা অসন্তোষ আগেভাগে নির্মূল করতেই এই সব ব্যবস্থা নিয়েছেন মাদুরো।
প্রেসিডেন্টের জারি করা জরুরি অবস্থা অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি, সেখানে বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। মাদুরোর বিরুদ্ধে গণভোট চেয়ে তারা দাবি করেছে, ৭০ শতাংশ ভেনেজুয়েলাবাসীই তাঁর অপসরণ চান। কিন্তু মাদুরোর অনুগামী বিচারপতিরা অ্যাসেম্বলির রায় উলটে দিয়ে দাবি করেছেন, আইন মেনেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন তিনি। ফলে সঙ্কট আরও গভীর হয়েছে।


খনিজ তেল নির্ভর সমাজতন্ত্রী ভেনেজুয়েলায় দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছেন হুগো স্যাভেজ। তাঁর মৃত্যুর পর বিরোধী নেতা হেনরিক ক্যাপ্রিলেসকে স্বল্প ভোটে হারিয়ে ভেনেজুয়েলার ক্ষমতা দখল করেন মাদুরো। ক্যাপ্রিলেস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় সামাজিক বিস্ফোরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এভাবে চললে বিদ্রোহ হতে পারে। তবে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সমস্যা মেটানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।