ঢাকা: নির্বাচন সংক্রান্ত হিংসায় রবিবার বাংলাদেশে মারা গেলেন ১৭ জন। দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল আওয়ামি লিগ ও বিরোধী বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) একে অপরের বিরুদ্ধে তাঁদের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলেছে।
সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, এদিন সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই ভোটের শুরুতেই উত্তপ্ত হয় বাংলাদেশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসার খবর আসতে শুরু করে। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত ১৭ জন এই হিংসার বলি হয়েছেন। আহত বহু।
রাঙামাটি এলাকায় সংঘর্ষে জড়ান আওয়ামি লিগ ও বিএনপি সমর্থকরা। গুলি চলে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আওয়ামি লিগের যুব সংগঠন যুব লিগ-এর এর নেতার মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। তাঁদের কাউখালি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামে বিএনপি সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহীতে মারা গিয়েছেন এক আওয়ামি লিগ সমর্থক। নরসিংডি কেন্দ্রে মৃত্যু হয়েছে আওয়ামি লিগের এক পোল এজেন্টের। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাজশাহী-৩ কেন্দ্রের অন্তর্গত মোহনপুরে বিএনপি কর্মীদের হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক আওয়ামি লিগ সমর্থকের। চন্দিনায় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় এক ঐক্যফ্রন্ট সমর্থকের।
দিনাজপুর-২ তে আওয়ামি লিগ ও বিএনপি-র মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক ভোটারের। আবার, কক্সবাজার-১ কেন্দ্রে বিএনপি-র সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র লিগ-এর এক কর্মীর। বোগুরা-৪ কেন্দ্রে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক আওয়ামি লিগ সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, নোয়াখালি-৩ কেন্দ্রে জামাতের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক নিরাপত্তাকর্মীর।
যদিও বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান মহম্মদ জাভেদ পটোয়ারি জানিয়েছেন, কয়েকটি বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটলেও মোটের ওপর শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। মোট সেনা ও আধা-সেনা সমেত মোট ৬ লক্ষ নিরাপত্তাবাহিনীকে ভোটে শান্তি বজায় রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে একাদশতম সংসদীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণপর্ব চলছে। চতুর্থবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াই করছেন শেখ হাসিনা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টে নাগাদ। লড়াই হয় ২৯৯টি আসনে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১ হাজার ৮৪৮ জন প্রার্থী। ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজার ১৮৩। কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলিকে। ছয় লক্ষের বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে সেনা, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, র‍্যাব-সহ নিরাপত্তা বাহিনীগুলিকে। নিরাপত্তার খাতিরে বন্ধ থ্রিজি এবং ফোর জি ইন্টারনেট পরিষেবা। বন্ধ রয়েছে যান চলাচলও। ভোটের ফল জানা যাবে আজই।