ভারত গত সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছে। গোটা জম্মু ও কাশ্মীরকে দু টুকরো করে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির সিদ্ধান্তও নিয়েছে। এই সংক্রান্ত বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত আদেশে সই করেছেন। এনিয়ে উত্তেজনার আবহে পাল্টা ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কার করে নয়াদিল্লির ‘একপেশে’, ‘বেআইনি’ পদক্ষেপের জন্য ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও হ্রাস করেছে পাকিস্তান।
এই প্রেক্ষাপটে ২২ বছরের মালালা ট্যুইট করেছেন, আমি যখন শিশু, আমার মা, বাবা যখন বাচ্চা ছিলেন, আমার পিতামহ-পিতামহীরা যখন যুবক, সেই তখন থেকেই কাশ্মীরের জনগণ সংঘাত, লড়াইয়ের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন। মালালা বলেছেন, তিনি কাশ্মীর নিয়ে চিন্তিত কেননা ‘দক্ষিণ এশিয়ায় আমার বাড়ি, যেখানে কাশ্মীরিরা সহ ১৮০ কোটি মানুষও থাকে। এই অঞ্চলে ভিন্ন সংস্কৃতি, ধর্ম, ভাষা, রান্না, খাবারদাবার, রীতিনীতি চালু আছে বলে অভিমত জানিয়ে ‘আমরা সকলেই শান্তিতে বসবাস করতে পারি’ বলেও আশা প্রকাশ করেছেন কনিষ্ঠতম নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। এও বলেছেন যে, আমাদের কষ্টের মধ্যেই থাকার, একে অপরকে আঘাত করার কোনও দরকারই নেই।
মালালা বলেছেন, তিনি চিন্তিত মূলত মহিলা ও শিশুদের নিয়েই কেননা তারাই ‘হিংসার মুখে সবচেয়ে বেশি বিপন্ন এবং সংঘাত-বিবাদে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন’। তাদের যন্ত্রণার দিকে নজর দিয়ে পদক্ষেপ করতে দক্ষিণ এশিয়ার লোকজন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আমাদের মধ্যে যে মতপার্থক্যই থাকুক না কেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে কাশ্মীরের সাত দশকের সংঘাত সমাধানে ব্রতী হতে হবে।