বেজিং: ডোকালামে সংঘাতে ইতি টানতে ভারত দুপক্ষের সেনা সরানোর প্রস্তাব দিলেও খারিজ করে দিল চিন। ডোকালামে চিনা সেনাবাহিনীর রাস্তা তৈরির চেষ্টায় ভারত বাধা দেওয়ায় গত ৫০ দিন ধরে সেখানে সংঘাত চলছে দুদেশের।

এই প্রেক্ষাপটে চাপ বাড়িয়ে চিন হুমকি দিল, তাদের সেনা কাশ্মীর বা উত্তরাখণ্ডের কালাপানি এলাকায় ঢুকে পড়লে নয়াদিল্লি কী করবে!

তারা নিজেদের এলাকাতেই রাস্তা বানাচ্ছে বলে দাবি চিনের। বারবার চিন বলছে, ডোকালাম থেকে সেনা সরাক ভারত। ডোকালাম তাদের, ভুটান এই দাবি করলেও চিন ডোকালাম তাদের বলে দাবি করে বলছে, এ নিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে কোনও বিরোধ নেই থিম্পুর।

আজ চিনের বিদেশ মন্ত্রকের সীমান্ত ও সমুদ্র বিষয়ক বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ওয়াং ওয়েনলি বলেন, ওখানে একজন মাত্র ভারতীয় সেনা একটা দিনের জন্য থাকলেও তা আমাদের সার্বভৌমত্ব ভৌগলিক অখণ্ডতার পরিপন্থী।

চিনা সাংবাদিক সংগঠন আয়োজিত সফরে সে দেশে যাওয়া ভারতীয় মিডিয়া টিমকে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনা সম্ভব নয়। আমাদের দেশের মানুষ তাতে ভাববে যে, আমাদের সরকার অযোগ্য। ভারত চিনা এলাকা থেকে সেনা না সরানো পর্যন্ত কোনও অর্থবহ আলোচনা হবে না।

চিন, ভারত ও ভুটান, তিন দেশের সংযোগস্থলে রাস্তা তৈরির পদক্ষেপে স্থিতাবস্থা নষ্ট হচ্ছে, ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের এই অবস্থানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তিন দেশের সংযোগস্থলকে অজুহাত হিসাবে খাড়া করে ভারতের লাভ হবে বলে মনে হয় না। ভারতের দিকেও অনেক সংযোগস্থল রয়েছে। একই কারণ দেখিয়ে আমরাও যদি চিন, ভারত, নেপালের মধ্যে কালাপানি বা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীরে পা দিই, তবে কী হতে পারে? সুতরাং তিন দেশের সংযোগস্থলের কথা বলে লাভ নেই, তাতে বরং সমস্যাই বাড়বে।

এই প্রথম চিনের কোনও সরকারি আধিকারিক এ ধরনের মন্তব্য করলেন।

চিন কি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পিএলএ ও চিন সরকারের তরফে আমি শুধু এটাই বলতে পারি, আমাদের মনোভাব কঠোর। ভারত যদি ভুল পথে পা বাড়ায় বা বিভ্রান্তির মধ্যে থাকে, তবে আমাদেরও নিজেদের অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে যে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার আছে।